দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কাঁটা বিজ্ঞানীরা। ভূমিকম্পের ভয়ে থরহরিকম্প হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল। কম্পনের মাত্রা হতে পারে রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি। ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বিপুল। বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণী, এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষতি কমানো সম্ভব, এমনকী ৯৯.৯৯ শতাংশ ক্ষতি রোখা যাবে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড, নেপাল, জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক এলাকা কেঁপে উঠেছে ঘনঘন। নেপালের পশ্চিমাংশে ভূমিকম্পে ৬ জনের মৃত্যুর খবরও মিলেছে। কখনও উত্তরকাশী, শিলং, বিহার, কখনও নেপাল – নানা জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে এবং এই সবই কম্পনপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। তবে এবার বিপদ আরও বেশি। সাতের বেশি মাত্রা প্রবলভাবে দুলে যেতে পারে হিমালয় পর্বতমালার ভূগর্ভ। এতদিন পর্যন্ত এই এলাকায় কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৬.৬।
ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূমি থেকে উৎপত্তি পর্বতমালার। সেই দুই প্লেট যখন পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখনই শুরু হয় ভূমিকম্প। বেশি শক্তিশালী প্লেট অপরটির উপর উঠে গেলে বিপর্যয় বেশি হয়। ভারতীয় প্লেটের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়েছে ইউরেশীয় প্লেট। সেই চাপেই বারবার কেঁপে ওঠে হিমালয়ের পাদদেশ।
দুই প্লেটের রেষারেষিতে একটা সময় পর পাতালের শক্তি এতটাই বেড়ে যাবে যে বড়সড় কম্পন ছাড়া তা বেরনোর উপায় থাকবে না। বিজ্ঞানী অজয় পালের কথায়, ”আমরা জানি না তেমন প্রলয় কবে আসবে। আজ থেকে ১০ দিন পর নাকি ১০০ বছর পর। তবে এই এলাকা সবসময় অত্যন্ত উত্তেজনাপ্রবণ, অশান্ত। বারবার কম্পনেই একমাত্র স্থিতিশীল হওয়া সম্ভব।”
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল