দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
চলতি বছরের শুরুতেই বেসরকারি সংস্থা ব্লুমবার্গ দাবি করেছিল, জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। এবার খোদ রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষায় একই দাবি করা হল। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, চিনের জনসংখ্যা কমা ও ভারতে বাড়ার কারণে শি জিন পিংয়ের দেশকে পিছনে ফেলে ভারতই এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। ইতিমধ্যে দুই দেশের জনসংখ্যার পার্থক্য ৩০ লক্ষেরও বেশি।
রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষার দাবি, বর্তমানে চিনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। সেখানে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেল ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে।
গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুযায়ী, ১৪২ কোটির চিনে গত বছর জনসংখ্যা কমেছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার। সেখানে একই সময়ে জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। ১৯৫০ সালের পর যা সবচেয়ে কম। এছাড়া ২০২২ সালে কোভিড ও অন্য কারণে ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ ‘এক সন্তান নীতি’র উপরে জোর দেওয়ায় জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে চিনে। তথ্য বলছে, ভারতেও আগের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০১১ সালের পর এ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশ, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। তথাপি চিনের থেকে তা অনেকটাই বেশি।