দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার কারণ জানতে চেয়ে শুক্রবার দিল্লি, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক বিজেপি নেতা পেরালা শেখর রাও-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট শ্রাবণ কুমারের দায়ের করা একটি পিটিশনে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে এবং বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রামানিয়ানের একটি বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছ থেকেও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
আবেদনকারী যুক্তি দেখান যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিমাণে সব রাজ্যই জনগণের সুবিধার জন্য রাজ্য পর্যায়ের ‘স্বাস্থ্য বীমা’ প্রকল্প ছাড়াও ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। আবেদনকারী এও বলেন যে-“কিন্তু রাজনৈতিক কারণে, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা রাজ্য এটা করছে না, যার ফলে জনগণের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি সংবিধানের ১৪ (সমতা) এবং ২১ (জীবনের অধিকার) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী চারটি রাজ্যের এই কর্মকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে কৈফিয়ত চেয়েছিলেন।
রাও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প – প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা বাস্তবায়নের জন্য একটি নীতি প্রণয়ন করতে অথবা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প বেছে নেওয়ার জন্য একটি বিকল্প প্রদান করতে কেন্দ্র এবং চারটি রাজ্যের কাছে দিকনির্দেশ জানতে চেয়েছেন যা কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য অনেক রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পেতে সহায়তা করতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০২০ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। সারা দেশে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার আওতায় ৮,০৫৯টি বেসরকারি সুবিধাসহ ১৬,০৩৯টি হাসপাতাল কে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বিবেচনা করে প্রায় ১,৫০০ চিকিৎসা পদ্ধতির হার নির্ধারণ করেছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, সারা দেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রায় ৬,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।