দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পালি হিলসের মনিকর্ণিকা অফিসে শিবসেনা নির্দেশিত বিএমসি’র গুণ্ডারা তান্ডব চালানোর পর কঙ্গনা প্রতিবাদে ও ক্ষোভে ফেটে পরেছেন। তিনি প্রতিবাদে টুইট করে জানিয়েছেন, ‘অন্য ক্ষেত্রে বিএমসি এমন তৎপরতা দেখায়নি কেন? বলিউডে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদেরকে বছরের পর বছর নোটিস দেওয়ার পরেও কোনও পদক্ষেপ করেনি বিএমসি। বিএমসির এই পদক্ষেপের পরে নানান ধরনে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত’৷ কঙ্গনার এই মন্তব্যও ঝড় তুলেছে গোটা বলিউডে।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়েছে বলিউডের বিগ বি অর্থাত অমিতাভ বচ্চন, রাজ কুমার হিরানি -সহ আরও সাত জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, বেআইনি নির্মাণের নোটিশ দেওয়ার পরেও মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রেখেছে বিএমসি, তারপরেও সেই নির্মাণ এ নিয়মিত অফিস করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ তারিখে ভাঙা হয় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস। মূলত বেআইনি অফিস নির্মাণের জন্যই তা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের অন্যতম শাসকদল শিবশেনার বাকযুদ্ধ চলছিল। নানা রকম মন্তব্য ও পাল্টা বক্তব্যের পরেই খবরের শিরোনামে এসেছে বিএমসি৷ কিন্তু বিএমসি-র মাত্র একদিনের নোটিসে পালি হিলসএর অফিস ভাঙচুর ও তছনছ হওয়ার পরেই কঙ্গনা বিএমসির এই কার্যকলাপের উপরে প্রশ্নচিহ্ন তুলেছেন।
কঙ্গনা একটি তালিকায় পুরো বিষয়টি বিস্তারিত করে জানতে চেয়েছেন ৷ আরটিআই কর্তা অনিল গজলানিকে ও সেই বিস্তারিত তালিকা পাঠানোও হয়েছে। সূত্রের মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিএমসি গোরেগাঁও পূর্বে অবস্থিত সাতটি বাংলো যেখানে অমিতাভ বচ্চন, ওবেরয় রিয়্যালিটি, পঙ্কজ বলানি, হরেশ খান্ডেলওয়াল, সঞ্জয় ব্যাস, হরেশ জগতানির নির্মাণ রয়েছে, সেই নির্মাণ গুলির প্ল্যানেও অনিয়ম ধরা পড়েছে কিন্তু সেগুলিকে অজানা কারণেই ছাড় দেওয়া হয়েছে৷
উল্লেখ্য নির্মাণে ত্রুটি ধরা পড়ার পর ২০১৬ সালে এমআরটিপি ৫৩-এর (১)নং ধারায় এই সাতজন কেও নোটিস পাঠানো হয়েছিল। নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই আইনি প্রক্রিয়া চলছিল তবে এরপরে ২০১৭ সালে এই বেআইনি নির্মাণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে এমনটাই দাবি উঠেছে৷