দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ১ টাকা জরিমানা জমা দেন আইনজীবি প্রশান্ত ভূষণ, কিন্তু সেই সাথে তিনি বলেন যে এর অর্থ এই নয় যে তিনি আদালতের রায় মেনে নিয়য়েছেন। উল্লেখ্য, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে ফৌজদারি আদালত অবমাননার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ১ টাকা জরিমানা ধার্য করে সুপ্রিম কোর্ট। আজ তিনি জরিমানা দাখিলের পাশাপাশি একটি রিভিউ পিটিশনও দাখিল করলেন।
ভূষণ সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং জানান যে “আদালত অবমাননার মামলায় আমার উপর আরোপিত ১ টাকা জরিমানা জমা দিতে আমি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিতে যাচ্ছি। আমি যে এই জরিমানা জমা দিচ্ছি তার মানে এই নয় যে আমি রায় মেনে নিচ্ছি। আমি আজ এই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছি।”
মূল ফৌজদারি অবমাননার মামলার বিরুদ্ধে আপীলের অধিকার চেয়ে গত শনিবার তিনি একটি নতুন পিটিশন দাখিল করেন। ভূষণ এও দাবি করেছেন যে সুপ্রিম কোর্টের একটি বৃহত্তর এবং ভিন্ন বেঞ্চ তার আপীলের শুনানি করুক।
আইনজীবী কামিনী জয়সওয়ালের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে ভূষণ ফৌজদারি আদালত অবমাননার মামলায় “অনিচ্ছাকৃত, প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং উচ্চ হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার” সম্ভাবনা কমাতে প্রক্রিয়াগত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন এই বলে যে এই ধরনের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত হচ্ছে বিক্ষুব্ধ দল, “প্রসিকিউটর, সাক্ষী এবং বিচারক”
ভূষণ তার আবেদনে বলেন, “এটি অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে এবং সত্যিকার অর্থে সত্যের বিধানকে প্রতিরক্ষা হিসেবে স্বাবলম্বী করবে।”
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি ভূষণকে ফৌজদারি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ৩১ আগস্ট আদালত শাস্তি হিসেবে ১ টাকা টোকেন জরিমানা আরোপ করে। ভূষণকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিতে টাকা জমা দিতে বলা হয়, যা ব্যর্থ হলে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং তিন বছরের জন্য আইনের অনুশীলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর আগে “ভারতের কিছু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দুর্নীতিগ্রস্ত” এই মন্তব্য করার জন্য ২০০৯ সালে শীর্ষ আদালতে ভূষণের বিরুদ্ধে আরেকটি আদালত অবমাননার মামলা সুপ্রীম কোর্টে ঝুলে আছে।