দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সোমবার ভারত সরকার কাটা, টুকরো করা বা পাউডার আকারে ছাড়া সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, অবিলম্বে “সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্গালোরের গোলাপ পেঁয়াজ এবং কৃষ্ণপুরম পেঁয়াজ। এই ধরনের পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত রপ্তানির জন্য নি:শুল্ক ছিল।
উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতন একজন কর্মকর্তা বলেন “অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে এবং দামও বেড়েছে। যদিও এই ঘাটতি মরসুমি, কিন্তু গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে,” ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত ১৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। মূলত: বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং শ্রীলংকা ভারতীয় পেঁয়াজের শীর্ষ আমদানিকারক।
গত বছর ভারত দেশে ক্রমবর্ধমান দামের পরিপ্রেক্ষিতে রান্নাঘরের প্রধান উপাদান হিসেবে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল এবং পেঁয়াজের শিপমেন্ট বন্ধ করতে এবং প্রধান ক্রমবর্ধমান রাজ্যের কিছু অংশে বন্যার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমাতে সাহায্য করার জন্য প্রতি টনে ৮৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) নির্ধারণ করেছিল। এ বছরের মার্চ মাসে এই এমইপি তুলে নেওয়া হয় এবং পেঁয়াজ রপ্তানি নি:শুল্ক করা হয়।