দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে মানুষের বিনোদনেও বাধা পড়েছে। ফলত: বড়পর্দায় ছবি দেখার স্বাদ পূরন করতে হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু মোবাইলের পর্দার সাথে কী বড় পর্দার তুলনা মেলে! লকডাউনের পাঁচ মাসের মাথায় যখন একটু একটু করে খুলে দেওয়া হচ্ছিল সবকিছু, তখন সিনেমাপ্রেমী মানুষের মনেও প্রশ্ন জেগেছিল, তাহলে কী খুলতে চলেছে সিনেমা হলের ভাগ্য?
প্রতিটি আনলকেই সরকারি তরফে কিছু না কিছু নতুন নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হচ্ছে। যাতে স্বাভাবিক জীবনের দিকে ধীরে ধীরে পা রাখতে পারেন সাধারণ মানুষ। আনলক ফোর শুরু হতেই দরজা খুলেছে শপিং মল, জিম সহ এমন অনেক কিছুরই। এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয় যে অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে খুলে যাবে সিনেমা হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। কিন্তু আদৌ কী খুলছে সিনেমা হল!
না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে সিংগল স্ক্রীন হল খোলার ব্যপারে ভাবনা চিন্তা চললেও মাল্টিপ্লেক্স আপাতত সম্পুর্ণ বন্ধ। ১ অক্টোবর থেকে হল খোলার কোনও অনুমতি দেয়নি সরকার। তবে দেশজুড়ে বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের হল মালিকরা সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে দশেরার সময় অন্তত সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেয় যেন সরকার। সেই খবরটিই ভুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে।
সিনেমা হল না খালায় দর্শকরা যেমন হলমুখো হতে পারছেন না, তেমনই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অনেক শিল্পেরই বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। হল মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারী সকলের আয় বন্ধ। অন্যদিকে একের পর এক ছবি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে যা হলে মুক্তি পেতে পারছে না। হলের মালিকদের পাশাপাশি লোকসান হচ্ছে প্রযোজকদেরও। বিশেষত দেশজুড়ে পুজোর সময় বড় বড় ব্যানারের সিনেমা রিলিজ করার রীতি রয়েছে।এবার সেই আশা না দেখার দরুন হল খোলার খবরটি সামনে আসতেই সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের।এবং একমুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এই মেসেজটি।
তবে অক্টোবরের প্রথম দিনেই হল খুলে দেওয়ার ঘোষণা যে এটি একটি ভুঁয়ো খবর সেটি সরকারি সংবাদ সংস্থা পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানিয়ে দিয়েছে। তাই আপাতত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই বন্ধ থাকছে সিনেমা হলও।