দ্য ক্যালকাটা মিরর: ওড়িশায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, সেকারণে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ওড়িশা সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিল। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফে ওডিশার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে আবশ্যিক হিসেবে ৫০ শতাংশ বেড কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। আর এই নির্দেশ অবিলম্ব কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকাতে। সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ বা তার ঊর্ধ্বে বেড রয়েছে এমন বেসরকারি হাসপাতালগুলির ৫০ শতাংশ সাধারণ বেড কোভিড রোগীর জন্য সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া আইসিইউয়ের ৮০ শতাংশ বেড করোনা পজিটিভ রোগীদের চিকিত্সার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুর, বেরহামপুর, রৌরকেল্লা পুরসভার অন্তর্গত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ মনে চলতে হবে। এর পাশাপাশি এই নির্দেশিকাতে এ-ও বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া রেট চার্টের অতিরিক্ত টাকা রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না।
ওড়িশায় সোমবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেপ্টেম্বরের শেষে এই সংখ্যাটা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম উদ্যোগ হিসেবে এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক এই নির্দেশ জারি করে।
এদিন এই নির্দেশিকা’র পাশাপাশি জেলা কালেক্টর ও কমিশনারদের উদ্দেশে আর একটি নির্দেশে বলা হয়েছে রোগী নেই এমন কোভিড কেয়ার সেন্টার, কোভিড কেয়ার হোম ও অস্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টারগুলি বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পিকে মহাপাত্র সোমবার এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন কালেক্টর ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনারদের।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ওড়িশার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে অস্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টার খুলেছিল । কিন্তু যেহেতু এখন আর নতুন করে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই তাই ওই অস্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টারগুলি অপ্রয়োজনীয়। সেগুলি বন্ধ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিযায়ীরা এলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।