দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭০ তম জন্মদিন। আর এদিন সকাল সকালই একাধিক শুভেচ্ছাবার্তার হ্যাশট্যাগের টুইটে ছেয়ে গিয়েছে তাঁর টুইটার। কিন্তু এই শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপাশি টুইটারেই ট্রেন্ড হচ্ছে ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’-এর। এই #জাতীয় বেরোজগার দিবস নিয়ে ৩৩ লক্ষেরও বেশি পোস্ট হয়ে গিয়েছে। টুইটারে মোদির জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মোদি বিরোধী এই টুইটগুলি।
এই মুহূর্তে টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে থাকা এই #’জাতীয় বেরোজগার দিবস’ এর কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মূহুর্তে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে। চাকরিবাকরির নেই কোনো সংস্থান। বেকারত্ব তো রয়েইছে তারই তালে দেশজুড়ে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারত্বের সংখ্যা। সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি অবশ্য মিলছে বটে, কিন্তু পরীক্ষা বা নিয়োগ কোনটাই হচ্ছে না। শুধু হচ্ছে ফর্ম ফিলাপ। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদের জন্য এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনকেই বেঁছে নিয়েছে দেশের যুবসমাজের একাংশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদির জন্মদিন পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’ বা ‘#National UnemploymentDay’ -হিসেবে। এই ট্রেন্ডটি মূলত শুরু হয়েছিল ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। জয়েন্ট পরীক্ষার ঠিক আগে মোদি যে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানটি করেছিলেন, তাতে লাইকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ডিসলাইক পড়েছিল। আ সেই ধারায় অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনেও।
যদিও ‘জাতীয় বেরোজগার দিবস’ হিসেবে পালন করার এই কর্মসূচি অবশ্য যুব কংগ্রেসের। যুব কংগ্রেসের সদস্যরাই এই হ্যাশট্যাগগুলি ব্যবহার করে টুইট করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ‘মোদির জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের এই আন্দোলন গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে’ এবং টুইটের সংখ্যাটাও ইঙ্গিত করছে ওইদিককেই।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বাস্তবিকভাবে করোনাকালে কাজ হারিয়ে বহু মানুষ এখন সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় # ট্যাগের এই বারবাড়ন্ত সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।