দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সাদাকালো ল্যামিনেটেড আর হলোগ্রাম লাগানো ক্লাসিক কার্ড নয় এবার নতুন ভোটারদের রঙিন সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র বিলি করা শুরু হল। এই কার্ড শুধু ল্যামিনেশন করা পাতলা নয়, প্যান কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো শক্তপোক্ত এই কার্ড। কারণ, কাগজের বদলে এগুলি পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসি দ্বারা তৈরি। এর মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে প্রায় ২ লক্ষ ৬৫ হাজার নতুন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি সেই নতুন কার্ড পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল ভারত গড়ার লক্ষ্যে এই নতুন ভোটার পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা। এতে ইপিয়াইসি (EPIC) নম্বর ছাড়াও থাকছে একটি ১০ সংখ্যার আইডি নম্বর এবং নতুন সংযোজন বারকোড। যা বারকোড স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করলেই ভোটারের যাবতীয় তথ্য দেখিয়ে দেবে।


নির্বাচন কমিশনের মতে এই কার্ড আগের কার্ডের থেকে বেশি সুরক্ষিত কারণ, এতে এমন একটি নম্বর রয়েছে যা খালি চোখে দেখা যায় না, বিশেষ প্রযুক্তিতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের কর্মীরাই তা বিশেষ যন্ত্রের বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেখতে পাবেন। আরও জানা গিয়েছে যে, সেই নম্বর প্রত্যেকের জন্যে ইউনিক। অর্থাত্ কোনওমতেই এর নকল করা সম্ভব নয়। আর পিভিসি দ্বারা তৈরি হওয়ায় এই কার্ড এর ল্যামিনেশন উঠে যাওয়া বা সহজে নষ্টও হবে না। শুধু বর্ধমান নয়, শীঘ্রই রাজ্যের সর্বত্র নতুন ভোটাররা এই ভোটার কার্ড হাতে পাবেন।
তবে এই নতুন কার্ড চালু হওয়ার মানে এই নয় যে যাঁদের পুরনো কার্ড রয়েছে তাঁরা সেগুলিই ভোটদান বা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। পুরোনো কার্ড যেমন আছে তেমনই থাকবে বলে সূত্র মারফত খবর।
পুরনো ভোটাররাও কি এই নতুন রঙিন কার্ড পাবেন? নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিকের মতে, ২৫ টাকার বিনিময়ে নতুন ভোটার কার্ড দেওয়ার একটি ব্যবস্থা থাকলেও তা এখনও চালু হয়নি। কারণ, কমিশন এখনও এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। পুরোনো কার্ড এর বদলে নতুন কার্ড সম্ভব করতে প্রতিটি জেলায় জেলায় আরও ভাল পরিকাঠামো দরকার, যেটা এই মূহুর্তে দেশের কোথাও নেই।
সে কারণে শুধুমাত্র নতুন ভোটারদের জন্যই এই আধুনিক কার্ড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে পুরোনো কার্ড এর বদলে নতুন কার্ড দেওয়া হবে বলে আশাবাদী ওই আধিকারিক।