দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এবার সরকারের অনুমতি ছাড়াই কোম্পানিতে নিয়োগ ও ছাঁটাই চালুর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের। এই ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোম্পানিকে সরকারের অনুমতির অপেক্ষা করতে হবে না। নিজেদের মর্জি মতোই সংস্থাগুলি কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। চাইলেই কর্মীদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে পারবে। তবে শুধুমাত্র যে সংস্থাগুলিতে কর্মীর সংখ্যা ৩০০-র কম নয়, সেগুলিকেই এই অনুমতি দেওয়া হবে। শনিবার লোকসভায় একটি বিল পেশ করে তাতে এমনই প্রস্তাব রাখলো কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
আপাতত যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মী সংখ্যা ১০০-এর কম, তারাই সরকারের অনুমতি ছাড়াই কর্মী নিয়োগ করতে পারে। আবার কর্মীদের ছাড়িয়ে দিতে পারে। এবার এই নয়া প্রস্তাবটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড বিল ২০২০’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার এই বিলটি পেশ করেন।
‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড বিল ২০২০’-এর ধারা ৭৭ (১) অনুযায়ী, যে স্থায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংখ্যা ৩০০-র কম নয় বা তার বেশি সংখ্যক কর্মীরা পূর্ববর্তী ১২ মাসে দৈনিক গড় কর্মদিবসের ভিত্তিতে কাজ করছেন, সেই সংস্থাগুলিতে ছাঁটাই, খরচ হ্রাসের জন্য কর্মীবহর কমানো এবং দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার অংশটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরই লোকসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছিল। তারপর তা শ্রম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। আলোচনার জন্য শ্রম মন্ত্রকের তরফে বিলের যে খসড়া প্রকাশ করেছিল, তাতেও এই নতুন নিয়ম ছিল। কিন্তু বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের বিরোধিতায় এই অধ্যাদেশটি ২০১৯ সালের সেই বিলে রাখা হয়নি।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের অনুমতি ছাড়াই ৩০০-র কম সংখ্যক কর্মী বিশিষ্ট সংস্থাগুলিকে খরচ কমানোর জন্য ছাঁটাই বা সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। তখন একটি রিপোর্টে কমিটি জানিয়েছিল, রাজস্থানের মতো রাজ্য ইতিমধ্যে কর্মী সংখ্যার সেই সীমা বাড়িয়ে ৩০০ করেছে। তার ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছে এবং ছাঁটাইয়ের সংখ্যা কমেছে বলে দাবি করেছে শ্রম মন্ত্রক।
লোকসভায় পেশের পর নতুন বিলের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস-সহ একাধিক দল। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের দাবি, কর্মীদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আমরা আবার ইংরেজ রাজত্বে প্রবেশ করছি।