দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:বিরোধীদের বয়কটের মধ্যেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রম আইন বিনা বাধায় পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। একমাত্র রাজ্যসভায় শাসক ও বিরোধী সাংসদের সংখ্যাতে তেমন ফারাক নেই। আর এ কারণেই বাদল অধিবেশনে পেশ করা বিল গুলি পাস করতে বেগ পাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। উত্তাল হওয়ার কথা ছিল সংসদও। কিন্তু পরোক্ষভাবে বিরোধীরাই কার্যত খালি মাঠে গোল করার সুযোগ করে দিলো মোদী সরকারকে।
রাষ্ট্রপতির সাক্ষর হয়ে যাওয়ার পর এই বিল আইনে পরিণত হলে তিনশো’র বেশি কর্মীর সংস্থা সরকারকে না জানিয়ে ব্যবসা উঠিয়ে দিতে পারবে ও কর্মী ছাঁটাইও করতে পারবে। এই বিলগুলি হল শিল্প সম্পর্ক, সামাজিক নিরাপত্তা ও চাকরি সুরক্ষা সম্পর্কিত। রাজ্যসভার আগেই লোকসভায় পাশ হয়েছে এই বিলগুলি।
আজ শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ার বলেন শ্রম সংস্কারের প্রয়োজন ছিল ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনার দরকার। তিনি বলেন এই বিল পাশের আগেই ১৬টি রাজ্য বন্ধ ও ছাঁটাই সংক্রান্ত আইন লঘু করেছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী আগের নিয়মে ১০০ সদস্যের সংস্থা সরকারকে না জানিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে ও ইচ্ছামত ছাঁটাই করতে পারবে। কিন্তু এই কর্মী সংখ্যাটি এত কম থাকায় সংস্থারা নতুন করে কর্মী নিয়োগ করছিল না।
নতুন নিয়মে সংস্থারা বেশি করে লোক নিয়োগে উৎসাহী হবে বলে আশা করছে কেন্দ্র। এর অর্থ এখন ৩০০ জন লোক সংস্থা কাজ করলেই তবেই যথেচ্ছ ছাটাই বা কোম্পানী উঠিয়ে দিতে পারবে ওই সংস্থা। ফলে ছোট সংস্থা গুলিতে কাজ করা কর্মীদের সুরক্ষা মিলল। এই নতুন নিয়মে কোম্পানী যদি কর্মী ছাটাই করে তাহলে সেই কর্মীর হাতে ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে যাতে সে নতুন করে নিজেকে অন্য কাজের জন্যে তৈরি করতে পারে।
গাঙ্গওয়ার বলেন কর্মী স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য ইপিএফও এবং ইএসআইসি-র পরিধি বিস্তারিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ৪০ কোটি শ্রমিকদের বা চাকুরিজীবিদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেন্দ্র এই মূহুর্তে ২৯টি শ্রম আইনকে একসঙ্গে চারটি কোডে ভাগ করেছে । এর মধ্যে ‘কোড অন ওয়েজেস ২০১৯’ আগেই পাশ হয়েছে। আজ পাশ হল ‘দ্য অকুপেশনাল সেফটি’, ‘হেল্থ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশন কোড ২০২০’, ‘দ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড ২০২০’ এবং ‘দ্য কোড অন সোসাল সিকিউরিটি ২০২০’।