দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের পক্ষ নিয়ে মথুরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার বয়ানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৩.৩৭ একর বিস্তৃত সমগ্র কৃষ্ণ জন্মভূমি’র জমির মালিকানা এবং শহরের কৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন ‘শাহী ঈদগাহ’ মসজিদের জমিও কৃষ্ণ ভগবানের। তাই ওই ঈদগাহ টি অপসারণ করা উচিত, মামলার মর্মে এটাও উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে রাম লালা ভিরাজমানের পক্ষ থেকে দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলায় সুপ্রীম কোর্ট ২০১৯ সালে বিতর্কিত অযোধ্যা জমির মালিকানা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের হাতে তুলে দেয়। যেখানে গত আগস্ট মাস থেকে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
মৌজা মথুরা বাজার শহরের কাটরা কেশব দেব খেওয়াত-এ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভিরাজমানের নামে ওই বাদী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী এবং প্রভু শ্রীকৃষ্ণের আরও ছয়জন ভক্তের মাধ্যমে দেওয়ানি মামলা টি দায়ের করা হয়েছে। আর মথুরা কোর্টে আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন এবং বিষ্ণু জৈন এই পিটিশন দাখিল করেছেন।
উল্লেখ্য, মথুরা কোর্টে এই মামলার উত্তরদাতারা হলেন ইউপি সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং শাহী মসজিদ ঈদগাহের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্ট কমিটি।
মথুরা কোর্ট এ দায়ের করা এই মামলাতে লেখা আছে: “সে (শ্রী কৃষ্ণ ভিরাজমান ) নাবালক। তিনি একজন বিচারবিভাগীয় ব্যক্তি। আদালতে যথাযথ প্রতিকারের মাধ্যমে সে সেবাইতের মাধ্যমে এবং পরবর্তী বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর অনুপস্থিতিতে মামলা করতে পারে। সে সম্পত্তির মালিক, অধিগ্রহণ এবং দখল করতে পারে। তাঁর অধিকার আছে তাঁর সম্পত্তি রক্ষা করা এবং সেবাইতের মাধ্যমে তার হারানো সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং তা সেবাইতের অনুপস্থিতিতে পরবর্তী বন্ধুর অনুপস্থিতিতে ।


মসজিদ ট্রাস্ট ঈদগাহ, কিছু মুসলমানের সাহায্যে একটি বড় কাঠামো স্থাপন করে এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্ট এবং দেবতা কাটরা কেশব দেবের জমি দখল করে নেয় এবং এতে আরও যোগ করা হয়েছে যে সেটা ঘটেছে ” কোন কর্তৃত্ব ছাড়াই”।
সেখানে আরও বলা হয়েছে যে “ট্রাস্ট মসজিদ ইদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর একটি অবৈধ সমঝোতায় প্রবেশ করে, সোসাইটি শ্রী কৃষ্ণ জনস্থান সেবা সংঘ এবং উভয়েই আদালত, বাদী দেবতা এবং ভক্তদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করেছে।”
“ভারতে হিন্দু আইন হাজার বছর ধরে প্রচলিত, এটা ভালভাবে স্বীকৃত যে সম্পত্তি একবার দেবতার জন্যে নিবেদিত হয় তা দেবত্ত সম্পত্তি হয়ে যায়, যা কখনও ধ্বংস হবে না বা হারিয়ে যাবে না এবং যখনই এটি মুক্তি পায়, খুঁজে পাওয়া যায় বা পুনরুদ্ধার করা যায় “
এই পিটিশন অনুসারে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব, যিনি ৩১ জুলাই ১৬৫৮ থেকে ৩ মার্চ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের উপর রাজত্ব করেছিলেন, তিনি বিপুল সংখ্যক হিন্দু ধর্মীয় স্থান ও মন্দির ভেঙ্গে ফেলার আদেশ জারি করেছিলেন। ” যার মধ্যে ১৬৬৯-৭০ খ্রিস্টাব্দে মথুরার কাটরা কেশব দেব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা এই মন্দিরটিও ছিল। আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী আংশিকভাবে কেশব দেব মন্দির ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয় এবং জোর করে ক্ষমতার শক্তি প্রদর্শন করে একটি নির্মাণ করে এবং বলা হয় যে এই নির্মাণকেঈ ঈদগাহ মসজিদ নামে নামকরণ করা হয়েছে।