দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিল পাশের পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন অগণিত চাষিরা। এমনকি এই বিলের বিরোধীতা করে রাজ্যসভার ৮ সাংসদ সাসপেণ্ড ও হয়েছেন, চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভ। তবুও কোনো কোথায় কর্ণপাত না করে সেই বিল আজ আইনে পরিণত হল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই তিনটি কৃষিবিলে নিজের সাক্ষর করার পর এগুলি এখন আইনে পরিণত। তিনটি কৃষি বিলেই অনুমোদন দিলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই এই তিন কৃষি আইনের বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিল কেন্দ্র।
এই আইনের পক্ষে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দাবি, ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন আইন’ ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) আইন’ এবং ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন আইন’-এর ফলে দেশের চাষিরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। কিন্তু এই আইনের বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, শিল্পপতি ও বেসরকারি সংস্থাকে বিশেষ ভাবে পাইয়ে দিতে কৃষকদের জন্যে ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ নিয়ে এসেছে মোদী সরকার।
বিরোধীদের অভিযোগ, ফসলের বিক্রির জন্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে বিলে কোনও সঠিক দিশা দেওয়া হয়নি। এর ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামেও চাষিদের থেকে ফসল, বা আনাজ কিনতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। সেক্ষেত্রে চাষীর হাতে কোনো আইনি অবলম্বন থাকলো না।


যদিও বিরোধীদের এই দাবি শোনার পর মোদী সরকারের কৃষি মন্ত্রক একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছেন যে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বজায় থাকছে। ধাপেধাপে তাও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। চালু থাকবে সরকারের তরফে সরাসরি চাষিদের থেকে কৃষিপণ্য কিনে নেওয়ার রীতিও। কিন্তু এতেও অবশ্য সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। বিরোধীদের সাফ বক্তব্য, এই বিষয়টি পৃথক একটি বিল এনে মোদী সরকারকে আস্থা যোগাতে হবে। সেই বিলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যদিও এই বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেনি মোদী সরকার।