দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী’র “মন কি বাত”-এ কৃষি বিল নিয়ে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন দেশের কৃষিক্ষেত্রের কৃষকদের শক্তিই প্রমাণ করবে যে আত্মনির্ভর ভারতের গড়ার লক্ষে প্রধান ভিত্তি কৃষকরাই । আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝেই “মন কি বাত”-এ আবারও কৃষি বিল নিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আজ জানান কীভাবে এই নতুন বিল কৃষকদের সাহায্য করবে এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলবে। তাঁর কথায়, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে কৃষকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। যদি কৃষকরা শক্তিশালী হয় দেশও শক্তিশালী হবে। যদিও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব বিরোধী দলগুলি। সংসদে বিল পাশ হওয়ার পর সরব হয় কৃষক সংগঠনগুলিও। ভারত বনধের ডাক দেয় তারা। তাদের আশঙ্কা, এই বিলের জেরে তাদের ফসল উৎপাদনের স্বাধীনতা খর্ব হবে। আধিপত্য চলে যাবে কর্পোরেটদের হাতে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্দিষ্ট না হওয়ায় যে কোনও দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
আজও প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন কৃষকদের বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে। আজ ‘মন কি বাতে’ও তাঁর সে বক্তব্য স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন “কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী ফসল বিক্রি করতে পারবে। এই বিলের আওতায় আসলে লাভ হবে কৃষকদেরই। কৃষি বিলই তাঁদের (কৃষকদের) শক্তি। এখন তাঁরা জমিতে ইচ্ছেমতো ফসল বিক্রি করতে পারবেন। শুধুই সবজি এবং ফসল নয়, গম, চাল ইত্যাদিও বিক্রি করতে পারবেন।
একইসঙ্গে দেশের গল্প বলার ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোরোনা প্যানডেমিকে সেই হারিয়ে যাওয়ায় ঐতিহ্যের প্রভাবের বিষয়েও বলেন তিনি । তাঁর বক্তব্য “প্যানডেমিকে বিশ্ব এক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছে। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হচ্ছে। এই সময়ে গল্প বলার অভ্যাসই মানুষের মধ্যে যোগাযোগ রাখছে।
যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সেই ‘নোটবন্দী’র সময় থেকেই একের পর এক গল্প বলে আসছেন। প্রথমে মধ্যবিত্তের কোমর ভেঙেছেন এখন কৃষকের কোমর ভাঙার জন্যে আবার কৃষক বিলের গল্প শোনাচ্ছেন। মোদী যতটা বলতে পারেন অন্তত ততটা কাজ করলেও দেশের ও দোষের মঙ্গল হতো। উল্লেখ্য, এর আগের বারের ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে মোদীজি দেশীয় পুতুল শিল্পকে পুনুরুদ্ধার করার ডাক দিয়েচ্ছিলেন যা বিরোধী ও নেটিজেন দের ঠাট্টা তামাশা হয়ে ওঠে। তবে আজ তিনি যা বলেছেন তার এক অংশও যদি সত্যি হয় তাহলে কৃষকদের মঙ্গল হবে এমনটাও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।