দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: গঙ্গা নিজেই এমন একটি নাম যা নিজের মধ্যে অজস্র গোপনীয়তা নিয়ে বসে আছে, কিন্তু আমরা যখন বহমান গঙ্গার কথা বলি, তখন এই নদীর নির্দোষতা ও ধারাবাহিকতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়। যাইহোক, এই লকডাউনে, গঙ্গা নদী খুব শান্ত ও নির্মল ছিল যার অন্যতম কারণ কারখানা গুলি বন্ধ ছিল। এখন আনলক ফেজ শুরু হয়েছে। ফলত: গঙ্গা আবার পুরোনো রূপে ফেরার মুখে। ঠিক এই মূহুর্তে গঙ্গা থেকে একটি মাছ (আমেরিকান ফিশ) পাওয়া গিয়েছে যা সাত সমুদ্রের ওপার থেকেই এসেছে বলে মনে করছে বিজ্ঞানীরা। এই নতুন গঙ্গা অতিথিকে বিজ্ঞানীরা গঙ্গায় বসবাসকারী অন্যান্য আদি জলজ প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বস্তুত, গত কয়েকদিনে গঙ্গায় দুজন নতুন অতিথিকে জলরক্ষীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে দেখতে পাওয়া যায়, কয়েক সপ্তাহ আগে এই অতিথির একটির রঙ সোনালী ছিল, যাকে আমেরিকান মাছ বলে রিপোর্ট করা হয়। কিন্তু এর পরে আর কয়েকদিন আগে, একই প্রহরীরা আরেকটি রঙিন মাছ খুঁজে পায় গঙ্গা থেকে। এবার, বিজ্ঞানীরা আবার এটিকে নিয়ে খোঁজ খবর করা শুরু করেন, এবং আবিষ্কৃত হয় যে মাছটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীতে পাওয়া একটি ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ।’ এই মাছ গঙ্গার জলে খুঁজে পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা যারপরনাই বিস্মিত।
এই মাছটি কে বারাণসীর রমনা অঞ্চলের গঙ্গা নদীতে পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় নাবিকরা নদীতে ভ্রমণ করছিলেন। যখন তাদের কাছে এই অদ্ভুত মাছ দেখা দিলো, তারা সেটিকে ধরে ফেলে। এরপর এটি গঙ্গা সেন্টিনেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যিনি এটি ভু-মত্স বিজ্ঞানীদের কাছে নিয়ে যান এবং এটিকে সনাক্ত করেন। সহজ ভাষায়, যদি এই মাছের সংখ্যা গঙ্গাতে বৃদ্ধি পায়, তাহলে যে জলজ প্রাণীরা গঙ্গা পরিষ্কার রাখে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবে ফলে গঙ্গার পবিত্রতা হ্রাস হতে পারে।
মুখ দ্বিতীয় প্রজাতি
ধারণা করা হয় যে মাছটি গঙ্গার আশপাশের কোনো একটি ঘরোয়া অ্যাকুইরিয়াম থেকে এসেছে, যা কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে গঙ্গায় প্রবেশ করিয়েছে, যা তারপর থেকে বংশানুক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠছে। বিজ্ঞানীরা গঙ্গায় এই ধরণের মাছ না রাখার আবেদন জানিয়েছেন। যদি এই ধরনের মাছ গঙ্গায় পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে যেন পুনরায় গঙ্গায় আবার ছাড়া না হয়।