দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: স্বীকার না করলেও সমগ্র বিশ্বজুড়ে ঘটে চলা বৈশ্বিক মহামারীর জন্যে দায়ী চীন। এমন কী সম্প্রতি হংকং এর এক বিজ্ঞানী’র গুপ্ত ভিডিও সেটা অনেকাংশেই প্রমাণ করে যখন আমরা দেখি বিজ্ঞানীর টুইটার হ্যান্ডেলটি ব্লক দেওয়া হয়। এমনিতেই স্থল-জল বাণিজ্যি ও ডিজিটাল বাণিজ্যে কষাঘাত করে চীনকে সাঁড়াশি আক্রমণে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু চীনের প্রতিহিংসা এত সহজে লাদাখ সমস্যা মিটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দমে যাওয়ার নয়। ICMR কিছুটা সেরকম ই অনুমান করছেন। আর এর নেপথ্যে মারাত্বক জীবাণু CQV।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন আর্থ্রপ়ড বা সন্ধিপদ গোত্রের প্রাণী বাহিত এই CQV ভাইরাস, যাকে সাধারণভাবে ক্যাট ভাইরাস হিসেবেই চেনা হয়ে থাকে। এই ভাইরাসের প্রকোপে তীব্র জ্বর, মেনেঞ্জাইটিস ও শিশুদের এনসেফেলাইটিস দেখা দিতে পারে। ইতিমধ্যে, চীন ও ভিয়েতনামে কিউলেক্স মশা ও শুয়োরের মাধ্যমেই CQV ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
কিন্তু চীন ও ভিয়েতনামে দেখা গেলেও ভারতে এই নিয়ে চিন্তার কারণ কী? আসলে সম্প্রতি ভারতে ওই প্রজাতির কিউলেক্স মশার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। আর সে জন্যেই আগাম সতর্কতা জারি করেছে আইসিএমআর। মহারাষ্ট্রের পুনা নির্ভর এই প্রতিষ্ঠান ভারতজুড়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। যেখানে ৮৮৩টি মানুষের থেকে সংগৃহীত সেরাম নমুনার মধ্যে দুটিতে CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি কোনও এক সময়ে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে ওই দুটি নমুনা বাদে আর অন্য কোনও নমুনা বিশ্লেষণ করে মানব বা পশুর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি।


এই দুটি নমুনা ২০১৪ ও ২০১৭ সালে কর্নাটক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল যাতে CQV ভাইরাসের অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে এই মূহুর্তে কী অবস্থাতে রয়েছে এই ভাইরাস এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও বেশ কিছু পরিমাণে মানুষ ও শুয়োরের সেরাম নমুনা পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করছেন আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এ (IJMR) প্রকাশিত হয়েছে।
ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতীয় মশার প্রজাতিও এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। পাখির শরীরেও তার উপস্থিতি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।


অন্য দিকে, চীনে প্রায়ই পালিত শুয়োরের রক্তে CQV ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এর থেকে প্রমাণিত যে, এই ভাইরাস স্থানীয় এলাকার মধ্যেই জীবন অতিবাহিত করে থাকে। এখন যেভাবে নতুন করে চীনে ও ভিয়েতনামে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে তাতে ‘উহান’ এর মতই এই ভাইরাস ভারতের দিকে ট্রিগার করলে, এই অতিমারীর মধ্যে নির্ণয় করা দুষ্কর হবে কোনটা CQV আর কোনটা COVID-১৯। আর চীন যেহেতু নি:শব্দ ঘাতক তাই ICMR এর আশঙ্কা সীমান্ত দিয়ে শুয়োর ঢুকিয়ে ভারতে ছড়িয়ে দিতে পারে CQV।