দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: স্পেশাল ট্রেন চললেও দেখা নেই রেগুলার ট্রেনের। কোথাও যাতায়াতের জন্যেও ঢালাও সতর্কতা। উল্লেখ নেই লোকাল ট্রেন চলার। জেলা থেকে কলকাতা বা আন্তরজেলা যাতায়াতে বাঙালি’র এখন নাভিশ্বাস। বাস ভাড়া ১০-২০ টাকা বাড়ানো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা দেখেছে রাজ্যের তথা কলকাতার মানুষ। আশার আলো ছিলো লোকাল ট্রেন খুললে যাতায়াতে অন্তত কিছু সেভ করা যাবে। কিন্তু সে সুখেও ছাই দিয়ে রেল জানিয়েছে, যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে ডেভেলপমেন্ট ফী!
আসলে এই লকডাউনে যে ছ’মাস সময় পাওয়া গিয়েছে সেই সময়ে ঢেলে সাজানো হয়েছে রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে। সেই সৌন্দর্যায়নের কাজ এখনো চলছে দেশ জুড়ে। আর এই কাজের জনে প্রয়োজন বিপুল অর্থ। রেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রীদের থেকেই ডেভেলপমেন্ট ফি নিয়ে সেই টাকা জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নীতি আয়োগের প্রধান কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তবে যাত্রীদের থেকে কত টাকা নেওয়া যায়, সেই বিষয় এখনো আলোচনা স্তরে রয়েছে।
তবে রেল সূত্রের খবর, ডেভেলপমেন্ট ফি হিসেবে টিকিট পিছু সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা নেওয়া হতে পারে। এই প্রস্তাবই পাঠানো হচ্ছে ক্যাবিনেটের অনুমোদনের জন্য। বর্তমানে প্রস্তাব করা হচ্ছে, দূরত্ব অনুয়ায়ী ১০ থেকে ৩৫ টাকা অবধি অতিরিক্ত শুল্ক বসবে টিকিটের ওপর। মূলত: যারা এসি ফার্স্ট ক্লাসে যাতায়াত করছেন, তাদেরকেই দিতে হবে ৩৫ টাকা। আর স্লীপার ও লোকাল ট্রেন বা এক্সপ্রেস ট্রেনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনির জন্যে শুল্ক সর্বোচ্চ ১০ টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। তবে এই সংক্রান্ত এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে রেলের এক মুখপাত্র বলেন যাত্রীদের খুব একটা চিন্তা’র কারণ নেই, রেল বিবেচনা করে যে খুব সামান্য শুল্ক নেবে তাতে সাধারণ যাত্রীদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। আর এই টাকার পুরোটাই রেলের উন্নতিকল্পে ব্যবহার করা হবে। বিশ্বমানের পরিষেবা পেতে গেলে আমাদের সকলকেই মিলে মিশে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আমাদের শিয়ালদহ স্টেশনে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক লাউঞ্জ, শপিং মল। পাল্টে গিয়েছে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নাম্বার, দেওয়ালে দেওয়ালে সেজে উঠেছে মুরাল। এখন এটাই দেখার রেলভাড়া বেড়ে কততে গিয়ে দাঁড়ায়!