দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কেউ বলছে কাল, কেউ বলছে পরশু আবার কেউ বলছে আদৌ আসবে না করোনা’র টিকা। আশঙ্কার মেঘে অল্প বয়সেই ধরছে অন্য রোগ। এবার আর চিন্তা নেই দেশে কতগুলি করোনাভাইরাস টিকার ট্রায়াল চলছে? কোন টিকার ট্রায়াল কত পর্যায়ে আছে? কবে তা আসতে পারে? সেই যাবতীয় তথ্যের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খুলল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এমনটাই জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ১০০ বছর ইতিহাসের ইতিবৃত্ত প্রকাশ করেন। সেই অনুষ্ঠানের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান , ‘কোভিড ১৯-এর টিকা সংক্রান্ত একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। যে কেউই সেই পোর্টালে যেতে পারবেন। সেখানে টিকার গবেষণা ও তৈরির এবং ক্লিনিকাল ট্রায়াল সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়া রয়েছে। দেশে আবিষ্কৃত বা ট্রায়াল চলা অন্যান্য টিকার বিষয়েও সেই পোর্টাল থেকে তথ্য জানা যাবে।’
নতুন পোর্টালটির নাম ভ্যাকসিন ডট আইসিএমআর ডট অর্গ ডট ইন । এই পোর্টাল দেখতে এখানে ক্লিক করুন –
উল্লেখ্য, এই মূহুর্তে ভারতে করোনার সম্ভাব্য তিনটি টিকার ক্নিনিকাল ট্রায়াল চলছে। পুণের স্যাসন জেনারেল হাসপাতালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে এই সোমবার। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন ১৫০-২০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে সেই সম্ভাব্য টিকা প্রয়োগ করা হবে।
অন্যদিকে ভারত বায়োটেকের সম্ভাব্য টিকা কোভ্যাক্সিনের (COVAXIN) দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর থেকে গোরখপুর ও লখনউয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে কোভ্যাক্সিনের। অন্যদিকে, জাইডাস ক্যাডিলাও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন লাভ করছে।


এদিকে সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই ভারতে প্রথম করোনা টিকা প্রকাশ্যে আসতে পারে। এর আগে সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ‘‘পুরো পরিস্থিতির উপর নিজেই কড়া নজর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবে ইতিহাস। অন্যান্য দেশের মতোই ভারত চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বিষয়টি দেখছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ভবিষ্যতের জন্যও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছি। আমরা আশাবাদী যে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে ভারতে টিকা পাওয়া যাবে।’’