দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দীর্ঘ ২৮ বছর মনে ১০,১৬১ দিন পরে মামলার রায় দান করলো সিবিআই এর বিশেষ আদালত। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়। তারপর গঙ্গা ও সরযূ নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আজ সেই স্থানে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে ২০১৯ সালের নভেম্বরে যার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেদিন যে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল মসজিদ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত থাকার, আজ তারাই রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন। আজকের রায় ফের বদলে দিলো ভারতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, বিরোধীরা এই রায় কে ধর্মীয় মেরুকরণের দিকে ঠেলে দিলেও নৈতিক জয় কিন্তু বিজেপি’র।
আজ রায়দানের আগেই আদালতে উপস্থিত অভিযুক্তদের অনেকেই। মোট ৩২ জন অভিযুক্তের মধ্যে কেউ কেউ মেনে নিচ্ছেন যে তারা মসজিদ ভেঙেছেন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বেদান্তি বলছেন যে ভগবান রামের জন্য ফাঁসিতে যেতেও তিনি রাজি। তৎকালীন উত্তর ভারতের শিবসেনার প্রধান ভগবান গোয়েল বলেন যে তিনি মসজিদ ধ্বংসে নিজের দায় স্বীকার করছেন।
অন্যদিকে সাধবী রিতাম্ভরা বলেছে আমি ষড়যন্ত্র করি না, ষড়যন্ত্র শেষ করি। তাঁর মতে বাবরি ধ্বংসে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। এই মসজিদ ভাঙার অন্যতম অভিযুক্তের কথায়, যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের ঝলক লক্ষ্য করা গিয়েছে। যথা সময়ে আদলতে উপস্থিত হন অভিযুক্ত সাক্ষী মহারাজ।
যদিও আজ আদালতে অভিযুক্ত ৩২-এর মধ্যে ২৬ জন উপস্থিত হন। কোভিডের কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী, কল্যান সিং ও নৃত্যগোপাল। আসেননি আডবানি, মুরলী মনোহর যোশীও।
অবশেষে ১১ টা নাগাদ বিচারক এস কে যাদব এজলাসে উপস্থিত হন। ভিডিও কনফারেন্সে আদালতের রায় শুনবেন আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীরা। বিচারক রায় পড়তে শুরু করেন এবং তিনি বলেন যে এই মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয় আচমকাই এই ঘটনা ঘটেছিল। তিনি লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশী সহ সব অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিলেন।
অবশেষে শেষ হল আইনি লড়াই। আইনজীবী কে কে মিশ্র যিনি ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জনের সওয়াল করছিলেন, তিনি জানান যে সবাইকে নির্দোষী বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ঘটনা নিয়ে যে লম্বা আইনি লড়াই চলছিল, তার এদিন সমাপ্তি ঘটল ।
২৮ বছরের অপেক্ষা শেষ। অবশেষে এল বাবরি ধ্বংস মামলার রায়। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি সহ একদা শীর্ষ বিজেপি নেতারা। সবাইকেই বেকসুর মুক্ত করল বিশেষ সিবিআই আদালত।