দ্য ক্যালকাটা মিয়রোর ব্যুরো: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতই সারা ভারতেও জীবিকা হারিয়েছেন প্রায় আট লাখ যৌনকর্মী। এবার তাদের বেহাল দশা সামলাতে শুকনো রেশন জোগাড় ও বণ্টন করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত ও বলে যে অনেকের কাছে হয়তো বৈধ পরিচয়পত্রও নেই, সেই দিকটা একটু মানবিকতার সাথে বিবেচনা করে রাজ্যগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য দেশের এই বহুল পরিমাণ যৌন কর্মীদের সনাক্ত ও চিহ্নিত করতে এই মূহুর্তে National Aids Control Organization (NACO) ও প্রতি জেলায় লিগাল সেল কাজ করছে। এদের দ্বারা চিহ্নিত যৌনকর্মীদের এক মাসের মধ্যেই এই শুকনো খাবার বিলি করতে হবে রাজ্যদের এই মর্মেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট।
তবে আগামী ২৮ অক্টোবর এই মামলার ফের শুনানির দিন স্থির করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওইদিন প্রত্যেক রাজ্যকে কতজন যৌন কর্মী সেখানে থাকে ও কতজনকে শুকনো রেশন দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। প্রসঙ্গত (NACO) ন্যাকো’র হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ৮.৬৮ লাখ মহিলা যৌনকর্মী আছেন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ যৌনকর্মে পরিষেবা’র সঙ্গে যুক্ত আছেন।
এদিন সুপ্রীম কোর্টে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ নির্দেশে বলেন যে রেশন কার্ডের অভাবে যৌনকর্মীরা রাজ্য ও কেন্দ্রের অনেক প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকছেন। গত দিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে এদের শুকনো রেশন দেওয়া যেতে পারে কি। তখন সরকারের তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল জানান প্রতি রাজ্যকেই ইতিমধ্যেই খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছে। তারা যদি সেখান থেকে রেশন কার্ড নে ই এমন যৌনকর্মীদের রেশন দেয় তাহলে কেন্দ্রের আপত্তি নেই। তবে এই যৌন কর্মীদের এককালীন কিছু আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে গত শুনানিতে কিছুই উল্লেখ করা হয় নি।
এদিন সুপ্রীম কোর্টে মহারাষ্ট্র, বাংলা ও কর্নাটক জানায় তারা ইতিমধ্যেই যৌনকর্মীদের শুকনো রেশন দিচ্ছে। তবে আর্থিক সাহায্য দিতে গেলে সেই অর্থ কেন্দ্রের থেকেই আসা প্রয়োজন বলে জানায় রাজ্যগুলি। এই প্রসঙ্গে আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে পাঁচ রাজ্যে মাত্র আট শতাংশ (৮%) যৌনকর্মী উজ্জ্বলা যোজনার সুযোগ নিচ্ছেন।