দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: শনিবার ওড়িশা উপকূলে ধামরার আবদুল কালাম আইল্যান্ড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ভারতের নতুন পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র শৌর্যের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হল। ওড়িশা উপকূল থেকে উৎক্ষেপিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭৫০ কিমি দূরের নিশানা ভেদ করতে পারে।
এই ঘটনার তিন দিন আগেই বালেশ্বরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ৪০০ কিমি পাল্লার ‘ব্রহ্মস’ সারফেস-টু-সারফেস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। গত বুধবার উৎক্ষেপিত ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি।


গতকাল অর্থাত্ শনিবার দুপুর ১২.১০ মিনিটে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল যা শব্দের চেয়ে ৭.৫ গুণ সর্বোচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম সেটি ছুটে যায় লক্ষ্য বস্তুর দিকে। তবে এই উৎক্ষেপণ সম্পর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) জানিয়েছে শুধু গতিতেই সেরা নয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি ও নিখুঁত নিশানা ভেদের ক্ষমতা, রয়েছে সঠিক গতিতে উড়ে যাওয়া, উচ্চ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ও দিক নির্ণয়ের অত্যাধুনিক বৈশিষ্টও।
ডিআরডিও সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, ১০ মিটার দীর্ঘ ৬.২ টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রু শিবিরের রাডারের নজর এড়াতে সক্ষম এবং ১,০০০ কেজি পর্যন্ত প্রচলিত ও পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাধিকারী।
এই টেস্ট প্রসঙ্গে নর্দার্ন আর্মির প্রাক্তন কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস জয়সওয়াল (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছেন, ‘অন্য পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রকে জোরালো বার্তা দিতে এই ধরণের শক্তি প্রদর্শন অত্যন্ত জরুরি। তাদের বোঝানো দরকার, আমাদের যেন অযথা না ঘাঁটায়।’
মেক ইন ইন্ডিয়া’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রাডার নেটওয়ার্ক, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত টেলিমেট্রি স্টেশনের চেন প্রসেস। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির এই প্রথম ইউজার স্পেসিফিক ট্রায়াল সম্পূর্ণ হল।