দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়ার কুরুচিকর মন্তব্যে বিষাদে ভুগছিলেন কোল্লাম জেলার অনুপ অর্থো কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপ কৃষ্ণ।অবশেষে কুরচিকর মন্তব্যের কাছে হার মানলেন তিনি। বাথরুমের দেওয়ালে ‘সরি’ লিখে আত্মহত্যার পথই বেশে নিলেন ওই চিকিৎসক।
ঠিক কি ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে দাবি, সপ্তাহখানেক আগে অনুপ কৃষ্ণ নামে ওই চিকিৎসক একটি ৭ বছরের মেয়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করার সময় মেয়েটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও তার মৃত্যু হয়।মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় এলাকার মানুষেরা পুরো ঘটনাটির জন্য অভিযুক্ত করেন চিকিৎসককে।ঘটনা ঘিরে তৈরী হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি, চলে বিক্ষোভও।হাসপাতালের বিরুদ্ধ থানায় এফআইআর দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তবে মেয়েটির পোষ্টমর্টাম রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসে পৌঁছাবার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বারংবার আসতে থাকে ‘খুনী’র তকমা সহ বিভিন্ন কুরুচিকর মন্তব্য। অবশেষে চরম, অপমানে লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বাছেন চিকিৎসক অনুপ কৃষ্ণ। নিজ বাড়ির বাথরুমের দেওয়ালে লেখা সরি, পাশে তার নিথর দেহ।
উল্লেখ্য পুলিশি তরফে দুটি মৃত্যুরই যথাযথ তদন্ত হবার কথা জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে একজন চিকিৎসক লিখেছেন, সবাইকে সারিয়ে তোলার, জাদুকরি ওষুধ চিকিৎসকদের কাছে থাকে না। তাঁরাও মানুষ। পর্যাপ্ত সুযোগসুবিধা, শিক্ষা, এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির ভরসায় তাঁরা এই পেশায় এসেছেন। কোনো রোগীর শারীরিক জটিলতার কারণেও মৃত্যু হতেই পারে। তবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়েই সকলে খুন বল চেঁচামেচি শুরু করেন।