দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সমুদ্র তলদেশে যুদ্ধ চালানো যায়, এমন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র তৈরির গবেষণা শুরু হয়েছিল বেশ অনেকদিন আগেই। অবশেষে সেই গবেষণাতে সাফল্য পেল ভারত। গত কয়েক দশকের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ সোমবার ওড়িশার হুইলার উপকূলে এই ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরীক্ষা সম্পন্ন করলো ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও।
ক্ষেপনাস্ত্রের নাম রাখা হয় সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডো বা স্মার্ট। ওজনে হালকা এই অ্যান্টি সাবমেরিন স্মার্ট টর্পেডোটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে ছিন্নভিন্ন করতে পারে। টর্পেডোটির পাল্লা প্রায় সাড়ে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল। মূলত সমুদ্রের গভীর তলদেশে প্রতিপক্ষের ডুবোজাহাজের সাথে যুদ্ধ চালাতেই এই টর্পেডো মিসাইলের আবির্ভাব। এমনকি স্টেল্থের মতোন সাবমেরিনকেও তুড়িতে ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে এই মিসাইলের।


স্মার্ট টর্পেডো মিসাইলের সফল উৎক্ষেপনের পর, ডিআরডিও’কে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ টুইট করে বলেন,”ডিআরডিও সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হাল্কা টর্পেডো ‘স্মার্ট’-এর সফল পরীক্ষা করেছে। যা ভবিষ্যতের ডুবোজাহাজ বিরোধী যুদ্ধের ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডিআরডিও এবং তার সহযোগীদের আমার অভিনন্দন জানাই।’’
উল্লেখ্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কতৃক জানানো হয়েছে, ডিআরডিও’র বেশ কয়েক দশকের প্রচেষ্টায় তৈরী এই টর্পেডো পৃথিবীর সেরা টর্পেডো মিসাইল গুলির মধ্যে অন্যতম।