দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একাধিক রিপোর্ট বলছে শীতে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা ভারতে আশঙ্কাতীত ভাবে বাড়বে। এই আশঙ্কা অস্বীকার করলেন না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও।
আজ সাপ্তাহিক সোশ্যাল মিডিয়া কথোপকথন ‘সানডে সংবাদ’ এ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ‘SARS Cov 2 (নভেল করোনাভাইরাস) একটি শ্বাসবাহিত ভাইরাস এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় তার সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শ্বাসবাহিত ভাইরাস ঠান্ডা ও শুকনো আবহাওয়ায় বেশিদিন কার্যকর থাকে। আরও একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, শীতে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভিড় বাড়ে। তাই ভারতীয় প্রেক্ষাপটে আশঙ্কা করা ভুল হবে না যে শীতে সংক্রমণের হার বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে একাধিক ইউরোপীয় দেশ, বিশেষ করে ব্রিটেনের উদাহরণ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই সমস্ত দেশে শীতের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল।
এই কারণে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, জানিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, ‘মাস্ক ব্যবহার করুন এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। আরোগ্যলাভের চেয়ে সাবধান হওয়া ভালো।’
এই প্রসঙ্গে তিনি ব্রিটেনের অ্যাকাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর করা সমীক্ষা উল্লেখ করেন। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, শীতেই বিপদের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে রোগী ভরতির সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছে সেই রিপোর্ট।
সম্প্রতি জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (NCDC) সতর্ক করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যেখানে আসন্ন শীতে দিল্লিতে প্রতিদিন ১৫,০০০ সংক্রমণ ঘটতে পারে। রাজধানীর কোভিড মোকাবিলা কৌশল হিসেবে প্রকাশিত বিবৃতিতে সংস্থা জানিয়েছে, ‘শীতে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। দিল্লির বাইরে থেকে বহু রোগীর আসার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকা থেকে আসা রোগীদের অবস্থা বেশি কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া, উৎসবে জনসমাগম বাড়লে রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাবে। এই সমস্ত কারণে প্রতিদিন ১৫,০০০ পজিটিভ রোগী সামলানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।’