দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: একবছর হয়ে গেল জম্মু কাশ্মীর রাজ্যের অথচ এখনো বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের স্বপ্ন দেখা শেষ হলো না। সম্প্রতি ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ফারুক আবদুল্লা চীনের সমর্থনে জম্মু ও কাশ্মীরে প্রত্যাহৃত ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করলেন। দীর্ঘ কয়েক মাস গৃহবন্দি থাকার পরে গত ১৩ ও ১৪’ই মার্চ যথাক্রমে মুক্তি পান ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ায় চীন মোটেও খুশি হয়নি। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার কখনও মেনে নেয়নি বেজিং। তাঁর দাবি, “ওরা বলেছে, যত দিন পর্যন্ত না ৩৭০ ধারার প্রত্যাবর্তন করা হচ্ছে, তত দিন আমরা থামব না কারণ বিষয়টি এখন উন্মুক্ত। আল্লাহ ওদের শক্তিবদ্ধি করুন যাতে জম্মু ও কাশ্মীর ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধারা ফিরে পায়”
তিনি বলেন, ‘চীন সম্পর্কে যদিও মোদীজি ভাল বলতে পারবেন, সে দেশের প্রেসিডেন্টকে আমি এখানে ডেকে আনিনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গুজরাতে নিয়ে গিয়ে দোলনায় দুলেছেন। তার পর তাঁকে চেন্নাইয়ে নিয়ে গিয়ে একসঙ্গে খাবারও খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
উল্লেখ্য গত কয়েক মাস যাবৎ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা তৈরিহয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফারুকের এ হেন উক্তি ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে যথেষ্ট বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫’ই আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে জারি করা সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে লোক সভা। এর জেরে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল হয়ে যায়। তার আগে কাশ্মীরের প্রথম সারির রাজনীতিকদের প্রায় সবাইকে গৃহবন্দী করা হয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিভাজন করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়।