দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: যেভাবে কেটেছে বিগত ৭ মাস সেভাবেই কাটাতে হবে আরও ৩-৪ মাস আর তরপরেই হাতে এসে যাবে অতি আখাঙ্কিত করোনা ভ্যাকসিন। হ্যাঁ এমনটিই জানলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। তাঁর মতে আরও কিছু সময় ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। সব ঠিকঠাক চললে সামনের বছরের শুরুতে একটি নয়, একাধিক ভ্যাকসিন পেতে চলেছে ভারত। মঙ্গলবার মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে এমনটাই জানলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমর আশা করছি সামনের বছরের শুরুতেই দেশে করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে। এবং একটি নয় একাধিক সংস্থার ভ্যাকসিন পেতে চলেছি আমরা। এখন আমাদের বিশেষজ্ঞরা নিরন্তর পরিকল্পনা করছেন, কী ভাবে এই ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে সরবরাহ করা যায় তাই নিয়ে।”
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ভারতে চারটি করোনা ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালে রয়েছে। ভ্যকসিন গবেষণা করছে অন্তত সাতটি সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে-সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, ভারত বায়োটেক, জাইডাস ক্যাডিলা হেলথ কেয়ার, মাইনভ্যাক্স অ্যান্ড বায়োলজিকাল, প্যানসিয়া বায়োটেক। আগে হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের প্রাথমিক পরিকল্পনা প্রথম দফায় জুলাই মাসের মধ্যে ২০-২৫ কোটি ভারতীয়দের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। সেক্ষেত্রে চাই অন্তত ৪০-৫০ কোটি ভ্যাকসিনের জোগান।


হর্ষ বর্ধন চাইছেন, ভারতীয়রা সিঙ্গেল ডোজ ভ্যকসিন পান। যদিও তিনি এ কথাও স্মরণ করছেন, অনেক ক্ষেত্রে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি দরকার হয় প্রতিরোধের জন্য তা সিঙ্গল ডোজে মেলে না।
এখনওপর্যন্ত সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনগুলির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ডোজের সংখ্যা দুই। তবে জাইডাস ক্যাডিলা হেলফ কেয়ারের টিকায় তিনটি ডোজও লাগতে পারে। তবে কেন্দ্রের মতে ৫০% কার্যকর টিকাও এই দৌড়ে সামিল হতে পারবে। অন্য দিকে বিল গেটস জানিয়েছেন যে এই টিকার প্রথম পর্যায় হয়তো সম্পুর্ণভাবে করোনা’র প্রতিকার করতে পারবে না তবে দ্বিতীয় ফেজে এই টিকা অবশ্যই জীবনদায়ী হয়ে উঠবে।