দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: হুমকি দিয়েছিলেন আন্দোলনে নামার, নবান্নের সামনে ছেলেকে নিয়ে অনশনে বসার কিন্তু আর ছেলের হাত ধরে অনশনে বসতে হল না বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউরকে। উল্লেখ্য, বিজেপি’র যুবমোর্চার ‘নবান্ন চলো’ অভিযানে হাওড়া ময়দান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র’সহ গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন সেনা জওয়ান বলবিন্দর সিং। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ কে সামনে রেখে বিজেপি করে ‘বলবিন্দররের পাগরী হরণ’ হয়েছে যা আপাত দৃষ্টিতে শিখ সমাজ কে অপমান। সেই বিতর্ককে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে পুলিশ বনাম শিখ সমাজ, রাজ্য বনাম বিজেপি অনেক চাপান উতরের সাক্ষী হয়েছেন রাজ্য বাসী। অবশেষে রাজ্য সরকার জানিয়েছে বলবিন্দর কে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
টানা ৯ দিন বন্দী রাখার পর মুক্ত করতে রাজি হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। এই বিষয়টি শুক্রবার দিল্লি শিখ গুরুদোয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও আকালি দলের মুখপাত্র মনজিন্দর সিং সিরসার টুইট করে জানিয়েছেন। বলবিন্দরের গ্রেফতারির পর থেকেই নড়ে চড়ে বসে কলকাতার শিখ সমাজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই শিখ সমাজের বিক্ষোভ চলতে দেখা যায়। অবশেষে রাজ্য, বেঙ্গল পুলিশ ও শিখ সমাজের সম্মিলিত আলোচনাতে সমাধান সূত্র বের হয়।
অন্যদিকে স্বামীর মুক্তির দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউর। রাজভবন সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার কউর বলেন , শনিবার সকাল ১০ টার মধ্যে বলবিন্দরকে ছাড়া না হলে ছেলেকে পাশে নিয়ে নবান্নের সামনে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন।
এর আগে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডিজি বীরেন্দ্র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং বলবিন্দর সিংয়ের পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখা সহ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারজি করা হবে এবং তাঁকে শীঘ্রই সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হবে। বিশেষ সূত্রে খবর, বিজেপি’র যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য প্রিয়াংশু পান্ডের দেহরক্ষী বলবিন্দর সিংকে শনিবারই মুক্ত করা হতে পারে।
এদিন টুইটে মনজিন্দর সিং সিরসা সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কলকাতার শিখ সঙ্গত, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও আপামর রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মনজিন্দর সিং আরও জানিয়েছেন যে, আসন্ন দুর্গাপুজো উপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী করমজিৎ কউরের জন্য একটি সালওয়ার সুটই উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই ভালবাসায় তাঁরা আনন্দিত ও উচ্ছসিত।