দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। প্রতিপক্ষ জুডিথ কলিন্সকে বিপুল ভোটের তফাতে হারিয়ে সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় জয়ী হলেন। প্রত্যাশা অনেক আগেই ছিল, তবে তার বাস্তবায়ন ঘটল ভোটের ফলাফলের দিন।ভোট গননার সময় দেখা গিয়েছে, লেবার পার্টির ঝুলিতে এসেছে মোট ৪৯ শতাংশ ভোট। এবং তাঁর প্রতিপক্ষ দল অর্থাৎ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ দ্বিগুণের ও বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে জেসিন্ডা আরডার্নের দল।
দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে খুশির জোয়ারে মেতে উঠেছেন জেসিন্ডা সহ তাঁর শাসকদল। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘ভোটে হারলে দলের কোনও পদেই আর থাকবেন না। সাধারণ কর্মী হয়ে কাজ করবেন’। ১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম কোনো দল নিউজিল্যান্ডে এরকমভাবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করল।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে সতর্ক করতে নিজের হাতেই মাস্ক বানালেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ডা আর্ডার্ন
মূলত দুটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে এবার নির্বাচনের পথে হেঁটেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমত, করোনার মতো মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আর দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই।মূলত গত সেপ্টেম্বর মাসেই এই সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারনে তা পিছিয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডে গত ৩ অক্টোবর থেকে আগাম ভোটে ১০ লাখের ও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৯-এর মার্চ মাসে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন এবং দেশের মুসলিম বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাতেই বিশ্বজুড়ে আলোচিত এবং প্রসংসিত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া দেশে বিভিন্ন সংকট চলাকালীন সময় তার নেতৃত্ব, কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচিত এবং প্রসংশিত হয়েছিল।
শুধু তাই নয়,সেই দেশে করোনা মহামারী দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করায় বিশ্বজুড়ে তিনি প্রশংসিত হন এবং নিউজিল্যান্ডে এক নজির গড়ে তোলেন। শুধু তাই নয়, চটজলদি এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে মহামারী রুখতেও তৎপরতা দেখায় আরডার্নের সরকার। এছাড়া করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। ৪০ বছর বয়সী আরডার্নের এই কার্যকরী পদক্ষেপ দেখে নিউজিল্যান্ডের মানুষের তাকে বিপুল ভালোবাসা ও সমর্থন জানিয়ে তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করলেন।