দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা নিয়ে নয়া আবিষ্কারে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল, আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা বছর ১৪ ‘র অঙ্কিতা চেবরোলু৷ গোটা বিশ্ব যখন এই মারন ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার নিয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে তখন এই ১৪ বছর বয়সি কিশোরীর, করোনার সম্ভাব্য চিকিৎসার ধরন, আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের নতুন হদিশ দিয়েছে। তার এই আবিষ্কারের ফলস্বরূপ এবছরেরে থ্রিএম ইয়ং সায়েন্টিস্ট চ্যালেঞ্জেও ২৫ হাজার মার্কিন ডলারের পুরস্কারও জিতেছেন ওই কিশোরী।
অঙ্কিতা তার আবিষ্কারে তুলে ধরেছে কিভাবে?
ইন-সিলিকো পদ্ধতির দ্বারা একটি মলিকিউল তৈরি করা সম্ভব। যে মলিকিউল ‘SARS-COV-2’ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিমেষে নষ্ট করতে সক্ষম। মহামারীর এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে তার এই আবিষ্কার নিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে এখনো আমার সাফল্যতা বিশ্বাস করতে পারছি না। ১৯১৮ সালের মহামারির ভয়াবহতা দেখেই ভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে, গবেষনায় আগ্রহী হয় অঙ্কিতা৷ এদেশে পর্যাপ্ত টিকাকরণ, পর্যাপ্ত ওষুধ থাকা সত্ত্বেও কত মানুষের প্রতি বছর ইনফ্লুেয়ঞ্জায় মৃত্যু হয়। এই সমস্ত বিষয় থেকেই তার ভাইরাসের সম্ভাব্য চিকিত্সা নিয়ে ভাবনা শুরু হয় তার, যা বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে আরও দৃঢ় হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি অঙ্কিতা আরও জানান, তিনি যখন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী তখনই প্রথম এ বিষয়ে প্রোজেক্ট জমা দিয়েছিলন৷


উল্লেখ্য, তার এই সাফল্যের, অনুুপ্রেরক হিসেবে তার দাদুর কথা উল্লেখ করেছে৷ তার দাদু পেশায় একজন কেমিস্ট্রির অধ্যাপক। তিনিই অঙ্কিতাকে গবেষণায় অনুপ্রাণিত করতেন। বরাবর উৎসাহ জুগিয়েছেন তিনি৷ তার এই আবিষ্কার করোনা অতিমারীর ভয়াবহতা রোধে অনস্বীকার্য বলেই মনে করছেন বিশ্ববাসী।