দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কোথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আর তার শ্রেষ্ঠ উৎসব বাঙালির দূর্গাপূজা।সে বাঙালি এদেশীয় হোক কিংবা প্রবাসী।পূজোর উৎসবে মেতে ওঠে সকলেই।প্রতি বছরের মতোন এবছরেও প্রবাসে চলছে উমা আরাধনা শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। যদিও প্রতিবারের তুলনায় এবারে করোনা পরিস্থিতিতে প্রবাসীর পূজোতে ও থাকছে একাধিক রদবদল।
করোনা পরিস্থিতিতে বাড়তি সংক্রমন ঠেকাতে, এবারের পূজোমন্ডপ গুলি দর্শকশূন্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিদেশেও ছবিটা কিছুটা এক। সংক্রমন ঠেকাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমই এবারের ভরসা। সূত্রে খবর, প্রবাসী পূজোয় আগে থেকে স্লট বুক করা থাকলে, তবেই মিলবে মন্ডপের অনুমতি। চিরাচরিত পাঁচদিনের বদলে দেবী আরাধনা হবে মাত্র একদিন। পুজো দেওয়া হোক কিংবা পূজার ভোগ গ্রহন, সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চলতে হবে সকলকে।
সানফ্রান্সিস্কোর ৪৬ বছরের পুরানো পূজা কমিটি “বেড়িয়া প্রবাসী ক্লাবের” এক সদস্য সুদীপ্ত বাবু জানান “এবারে করোনা পরিস্থিতির জন্য পাঁচদিনের বদলে একদিন পূজোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে দেবীর বোধন হবে অষ্টমীর দিন সকালে এবং হবে বিজয়া হবে সেদিনই রাতে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এবারে পূজা মন্ডপে প্রবেশানুমতির জন্য অনলাইনের ফর্ম ফিলাপের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ফর্ম পূরন করলে তবেই মিলবে করলেই পুজোয় প্রবেশাধিকার। তবে তা কোনো কিন্তু অতিথির জন্য নয়,সেটাও শুধুমাত্র ক্লাবের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন কেবল তাদের জন্যে। আর পুজো ভোগের হ্মেত্রেও নির্দিষ্ট স্হানে রাখা ভোগ নিজেদেরি সংগ্রহ করে নিতে হবে। নেওয়া সবই রাখা থাকবে যথাযথ স্থানে সেখান থেকে সে নিয়ে নেবে।তবে বাইরের অতিথিদের জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি পুজাবার্ষিকী ডিজিটালি প্রকাশ করা হবে।
অপরদিকে “ফেস্টিভ্যাল অফ ফগ বেঙ্গলের” ক্লাবের পক্ষ থেকেও এবারের পূজো ডিজিটালি করার কথা জানানো হয়েছে। ক্লাব সদস্য যুদ্ধজিৎ বাবু জানিয়েছেন, “তাদের এবারের পুজো হবে ভার্চুয়ালি। তবে যদি কেউ মন্ডপে এসে প্রতিমা দেখতে চান তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইচ্ছুক দর্শনার্থীদের পূজার প্রায় তিন সপ্তাহ আগেই অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়েছেলি। অতঃপর ক্লাবের পক্ষ থেকে ওই দর্শনার্থীদের একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে মন্ডপে এসে প্রতিমা দর্শনের জন্য।পাশাপাশি এবারের পুজোয় অঞ্জলি, ধুনুচি নাচ, সিঁদুর খেলাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।তবে সব কিছু মেনেই আসছে বছর আবার হবে’র ভাবনায় অপেক্ষারত দেশ থেকে প্রবাসী সকল বাঙালিরাই।