দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল অক্সফোর্ড ও অ্যাজানেক্সা। তাদের টিকা তরুণ এবং বয়স্কদের মধ্যে ইতিবাচক ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। যেসব স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শরীরে টিকার প্রভাব ভালো অক্সফোর্ড সূত্রে খবর। এমনকি নভেম্বর মাসের গোড়া থেকেই সাধারণ মানুষের শরীরে টিকা দেওয়া শুরু করা যেতে পারে ব্রিটেনে সেটা নিশ্চিত করেছে গবেষকরা।
ইতিমধ্যে এই কাজের জন্য একটি হাসপাতালকে টিকা দেওয়ার পদ্ধতি তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের নিয়ামক সংস্থা থেকে অনুমোদন মিললেই শুরু হবে এই টিকা দেওয়ার কাজ। ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘দ্য সান’ এই খবর জানিয়েছে। ওই পত্রিকাতে জানানো হয়েছে যে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই ট্রায়াল শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, করোনার এই টিকা তৈরির কাজে অক্সফোর্ডের সঙ্গে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা ইতিমধ্যেই এই টিকা তৈরির কাজে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এই মূহুর্তে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে তারা। আর তারপরেই জানা গিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যেই এই টিকা মানুষকে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। আর সেটা এই বছরের শেষের মধ্যেই।
আজ এই সুখবর শোনাল সংস্থা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অক্সফোর্ডের এই টিকা তরুণ ও বয়স্কদের মধ্যে ভাল প্রভাব ফেলছে। যেসব স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি ও টি-সেল তৈরি হচ্ছে। তার ফলে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে।
গবেষকদের তরফে জানান হয়েছ যে মূলত: ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই টিকার প্রভাব সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই প্রভাবে অক্সফোর্ডের গবেষকরা যথেষ্ট আশাবাদী বলেই জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের অন্যতম ভাল প্রভাব দেখা যাচ্ছে বয়স্কদের মধ্যে। তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাচ্ছে। তবে আরও অনেক প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অক্সফোর্ড এর তরফ থেকে অতি শীঘ্রই একটি জার্নালে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই টিকা এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে নিরপত্তা জনিত সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই তা সাধারণ মানুষের শরীরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কিছুদিন আগেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সময়ই এক স্বেচ্ছাসেবক একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ফলে সাময়িকভাবে সেই ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী ব্রাজিলে এই টিকার প্রভাবে এক ডাক্তার মারা যাওয়ার গুজব ও রটেছিল, পড়ে জানা যায় যে ওই ডাক্তারের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগই করা হয় নি। এই বিষয়ে অক্সফোর্ডের ব্যাখ্যার নিশ্চিতকরণ করার পর অবশ্য সেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে।