দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কিছুতেই করোনার দাপট কমানো যাচ্ছে না ইউরোপে। সংক্রমণ রুখতে একমাসের জন্য ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে ব্রিটেন এমনটাই সূত্রের খবর। এমনকি এর আগে লকডাউনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান থেকে সরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস ন। জনসনের আশা, নভেম্বর মাসে দেশজুড়ে লকডাউন চলার পর ক্রিসমাসের আগে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হবে; আর তখনই শিথিল করা হবে এই মূহুর্তে বলবত্ রাখা নিয়মকানুন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহ থেকেই আবার গৃহবন্দি হয়ে যাবেন ব্রিটিশ নাগরিকরা।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কায় (Second wave) টলমল করছে গোটা ইউরোপ। ইতিমধ্যে স্পেন জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এর আগে জার্মানি, ইটালিও ফের বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করেছিল। ইংল্যান্ডও আবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে। দ্বিতীয় লকডাউনের কারণ হিসেবে পরিসংখ্যান বলছে ইউরোপে প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার করোনার হানাতে প্রাণ যাচ্ছে পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষের। তাই তাকে বাগে আনতে ফের লকডাউনের পরিকল্পনা ব্রিটিশ প্রশাসনের।
উল্লেখ্য এর আগে স্বয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন খানিকটা কঠোরভাবেই জানিয়েছিলেন যে দেশে আর কোনওভাবেই লকডাউন জারি করা হবে না। তবে আগামী সোমবার থেকে গোটা নভেম্বর দেশবাসীকে বন্দিদশায় কাটাতে হলেও ছাড় থাকবে শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (NHS) সতর্কবার্তা অনুযায়ী, সংক্রমণ এই হারে চলতে থাকলে দৈনিক মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছুঁয়ে ফেলতে পারে। আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে জানুয়ারির গোড়ায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই এখনিই কড়াকড়ি না করলে তা করোনার ধাক্কা সামাল দেওয়া মুশকিল। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে চিকিত্সার পর্যাপ্ত পরিসর নাও থাকতে পারে। সে কারণে লকডাউনের প্রস্তাব।
যদিও ব্রিটেনে সম্পূর্ণ লকডাউন করা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্যাবিনেট বৈঠকে তা স্থির হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজেই আসন্ন বিপদের গভীরতা বুঝে, অবস্থান বদল করে লকডাউনের পক্ষেই মত দিচ্ছেন সেকারণে দেশ জুড়ে লকডাউনের সম্ভাবনা ৯৯%।