দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন জনপ্রিয় তাঁর নীতি ও স্বদেশ প্রেমিকা হিসেবে। অত্যন্ত কম বয়সে একটা ইউরোপিয়ান দেশের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তায় আটকে দিয়েছেন করোনার আগ্রাসনও। আর এ বার নিউজিল্যান্ডের মসনদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর প্রাক্কালে জেসিকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রিয়াঙ্কা রাধাকৃষ্ণননের হাতে দিলেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ভার। আর সেটাই ইতিহাস হয়ে রইল কারণ প্রিয়াঙ্কাই হলেন নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী প্রথম অভিবাসী ভারতীয় মহিলা-মন্ত্রী।
ভারতের কাছে এই সাফল্য সত্যিই উদযাপন করার মতো। আর এই বিষয়ে পিছিয়ে থাকেন ‘আমূল’ ইন্ডিয়া। দেশে বা বিদেশে ভারতীয়দের ছোট-বড় নানা সাফল্যকে খুব অভিনব ও সৃষ্টিশীল কায়দায় তুলে ধরে আমূল ইন্ডিয়া। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। ইটস রাধা ওয়ান্ডারফুল ক্যাপশনে বিখ্যাত আমূল গার্লের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ডুডল নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। Twitter আর Instagram উপচে পড়েছে অভিনন্দন বার্তায়। সেখানে যে শুধু প্রিয়াঙ্কার এই সাফল্যকে উদযাপন করা হয়েছে তা নয়, ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে আমূলকেও।
জেসিন্ডার নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডে যে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে, তা যে অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় সেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন। আর প্রিয়াঙ্কা যে সেই সভার গর্ব হতে চলেছেন, সেই নিয়ে দ্বিমত নেই গর্বিত ভারতীয়দেরও। বিশেষ করে এই আনন্দে বিহ্বল হয়েছেন কেরলবাসীরা। কারণ প্রিয়াঙ্কা আদতে কেরলের এর্নাকুলামের বাসিন্দা।


কিভাবে উত্থান এই প্রিয়াংকার। জানা গিয়েছে কেরলের এর্নাকুলম থেকে সিঙ্গাপুরে যান আইআইটি-প্রাক্তনী প্রিয়াঙ্কা। আর সেখান থেকেই পাড়ি দেন নিউজিল্যান্ডে। সেখানেই ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলিংটন থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। বর্তমানে ৪১ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা ২০০৬ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং লেবার পার্টিতে যোগদান করেন। ২০১৭-তেই আরডার্নের এই পার্টিতে বিশেষ পদ পান তিনি। লেবার পার্টিতে প্রায় চোদ্দ বছর ধরে আছেন প্রিয়াঙ্কা রাধাকৃষ্ণন। দু’বার সসম্মানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাত্ আজকে প্রিয়াঙ্কা যে গুরুভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তার মঞ্চ অনেক দিন আগে থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
Instagram-এ আমূলের এই পোস্টের লাইক ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে প্রিয়াঙ্কাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শশী থারুরের মতো বহু অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ভারতীয়দের উত্সাহ দিতে আমূল কোনও দিন ভোলে না বলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই। আমূলের বিজ্ঞাপনের এই কপি যিনি ডিজাইন করেছেন, ভূয়সী প্রশংসার অধিকারী হয়েছেন তিনিও। আমূল তাঁদের এই মজাদার বিজ্ঞাপনী ধারা বজায় রেখেছে বলে কমেন্ট করেছেন বহু টুইটারিয়ান।