দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: চলতি বছরের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসে যে সমীক্ষা পেশ করা হয়েছিল, তা বলা হয়েছে যে, “আপাতত দেশের ৫০ অভয়ারণ্যে মাত্র ২,৯৬৭টি বাঘ কোনও মতে নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে! এ হেন পরিস্থিতিতে এই সোনালি বাঘের জন্ম বিশেষ ভাবে উল্লেখের দাবিদার। কেন না, অভিযোজনের পথ ধরে আর জিনগত পরিবর্তনের ফলে এ রকম গায়ের রং নিয়ে বাঘ বড় একটা জন্মায় না। সেই কারণেই এহেন গোল্ডেন টাইগার পৃথিবীর বিস্ময়! সোনালি রং, সঙ্গে লাল আর বাদামি ডোরা- এদের এক ঝলক দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়!”
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি দুর্লভ প্রজাতির বাঘকে। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার সাথে সাথেই তা ভাইরাল। চীনের পূর্ব ঝেঝিয়াং প্রদেশের তাইহু লেক লংমন্ট প্যারাডাইস অ্যামিউজমেন্ট পার্কের অধীনে এক চিড়িয়াখানা রয়েছে। আর সেই চিড়িয়াখানায় গত মাসের ১৯ তারিখে জন্ম নিয়েছে সারা বিশ্বে রীতিমতো দুর্লভ চার বেঙ্গল টাইগার শাবক।
এই গোল্ডেন টাইগার পৃথিবীতে এক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। তবে মুশকিল হল, যদি এই সাধারণ বাঘের সংখ্যা যদি এত কম হয়, তা হলে সোনালি বাঘের সংখ্যা আরও কম হবে। এই জন্যই প্রাণীবিদরা এই প্রজাতিদের বেশি বিপন্ন এবং লুপ্তপ্রায় বলে ঘোষণা করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,এই সোনালি বাঘ ৬২ গুণ বেশি পরিমাণে বিরল।আর সেই জায়গা থেকে চীনের এই চিড়িয়াখানায় মোট তিন বাঘিনী আর এক বাঘের জন্ম হয়েছে। যাতে নিঃসন্দেহে খুশি তারা।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শাবকদের বয়স হল ঠিক গুণে গুণে মাত্র ১৫ দিন।আর তার দরুন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ একটু বেশিই আদর-যত্নে চোখে চোখে রাখছেন তাদের। তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু বিরল প্রজাতি বলে এই যত্ন নেওয়া হচ্ছে না। এদের মা-বাবার সন্তানজন্মের অভিজ্ঞতা এই প্রথম, কাজেই সন্তানের দেখভাল কী ভাবে করতে হয় সেই বোধও কম।