দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার প্রায় নিশ্চিত। শীঘ্রই তাঁকে ছাড়তে হবে হোয়াইট হাউস। আর সেটা অনুধাবন করতে পেরেই ‘অবান্তর বকা’ শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গতকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রাতে ১৭ মিনিটের এক বক্তৃতায় ট্রাম্প দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাটরা ভোট চুরি করে নির্বাচন ছিনিয়ে নিতে চাইছে। ‘বৈধ’ ভোটের নিরিখে তিনিই জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে মনে করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একের পর এক মিথ্যা বলছেন। যার জেরে নজিরবিহীনভাবেই বক্তৃতার মাঝপথে লাইভ সম্প্রচার থামিয়ে দিয়েছে বহু আমেরিকান টিভি চ্যানেল।
উল্লেখ্য, ৩’রা নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হলেও বেনজিরভাবে একটি ‘যে কেউ জিততে পারে’ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। তবে ইতিমধ্যে ২৫৩ টি ইলেক্টোরাল ভোট বা আসন নিয়ে ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন বিডেন । এদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ভোট। কিন্তু পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও নেভাডার মতো রাজ্যের ফল এখনও আসেনি। তবে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে হলে এই সব রাজ্যেই জয়ী হতে হবে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে। অথচ মাত্র একটি রাজ্য দখল করলেই হোয়াইট হাউসে পৌঁছে যাবেন বিডেন। যা পরিস্থিতি তাতে ট্রাম্পের হার এখন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই হার মানতে রাজি নন।
গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন,”যদি বৈধ ভোট গননা করা হয় আমি সহজেই জিতে যাচ্ছি। ওঁরা নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করছে। আমি ইতিমধ্যেই বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য জিতে গিয়েছি। বড় ব্যবধানে জিতেছি। আমি কিছু রাজ্যে জিতেছি, যেগুলোতে ওরাও জয় দাবি করছে। আমরা দাবি করতেই পারি, কিন্তু শেষ কথা বলবেন বিচারক। আমার বিশ্বাস আমরা সহজেই ভোটে জিতব। তবে অনেক আইনি লড়াই হবে। আমাদের কাছে বহু প্রমাণ আছে। এভাবে একটা নির্বাচন চুরি করে নিতে দেব না।” কিন্তু ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং ভুলে ভরা বলে দাবি করছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ। আর সে কারণেই লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।