দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকাতে একটি কেস নজরে এসেছে যা সামনে আসার পর থেকেই বেশ চিন্তিত গবেষকরা। ওই ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অ্যাসিম্পটোম্যাটিক অর্থাত্ উপসর্গহিন করোনা রোগী দীর্ঘ ৭০ দিন ধরে আক্রান্ত! এই তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বয়স্ক মহিলার থেকে পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর ওই মহিলা দীর্ঘ দু মাস ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
ওই অ্যাসিম্পট্যোমেটিক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফলে তাঁর শরীরের রক্ত অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় তাঁর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নেই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই কারণেই তাঁকে দু মাসের বেশি সময় ধরে লড়তে হয় করোনার সঙ্গে। বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এই নভেম্বরের শুরুতে সেল (cell) জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে ওই মহিলার শরীরে কোনভাবেই অ্যান্টিবডি উত্পাদিত হচ্ছিল না। অন্যদিকে এতদিন ধরে এটাই জানা ছিল যে অন্য জটিল রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তির যদি করোনা হয়, তবে তা ২০দিনের বেশি স্থায়ী হবে না। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে এ বিষয় জানানো হয়েছিল।
আর এবার বিজ্ঞানীদের মধ্যে এখানেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ যে মহিলা ৭০দিন ধরে করোনা আক্রান্ত থাকলেন, তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফলে সিডিসির এর আগের পরীক্ষার ফলাফলের রিপোর্ট নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার বিষয়টি সকলের ক্ষেত্রেই গড়ে ৮দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৪ দিন সময় ও লাগছে সেক্ষেত্রে রোগির শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে যে কতদিনে তিনি ঠিকঠাকভাবে সেরে উঠবেন।
অন্যদিকে, আমেরিকাতে দ্রুত করোনা সংক্রমিত রোগীদের শনাক্ত করতে এবার স্নিফার ডগদের (প্রশিক্ষিত কুকুর) ময়দানে নামাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই কুকুররাই সন্ধান দেবে করোনা রোগীদের। এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের। অনেক ক্ষেত্রেই থার্মাল স্ক্রীনিং এ পাস করে গেলেও পরবর্তিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ওই ব্যাক্তি করোনা আক্রান্ত। তাই সম্প্রতি একটি গবেষণায় ফিনল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ল্যাবরেটরিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগগুলি করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে দারুণ সফলতা পেয়েছে।
বিশেষ করে, দেশের বাইরে থেকে আসা কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত কিনা তা জানতে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিমানবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করার জন্য আপাতত এই স্নিফার ডগ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষিত পুলিশ কুকুর বছরের পর বছর ধরে নানা অসাধ্য সাধন করতে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনকে সাহায্য করে চলেছে। এবার করোনা রোগীদেরও ঘ্রাণ-শক্তি দিয়ে চিহ্নিত করছে কুকুর। আর যদি এই সাফল্য আসে, তাহলে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য আসবে বিশেষ করে যেখানে ভিড়ের বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত।