দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনাকে বিনাশ করতে ইতিমধ্যেই একাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বিশ্বজুড়ে। এদের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাজানেক্সা’র টিকা ‘কোভিশিল্ড’, ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’ ইতিমধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে। যদিও রিপোর্ট এখনো সামনে আসেনি কিন্তু এর মধ্যেই বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখল ফাইজার। করোনা রুখতে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী বলে এদিন জানিয়েছে ওই সংস্থা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দাপটে বিশ্বজুড়ে টিকা’র হাহাকার পড়ে গিয়েছে। রোজই সংক্রমণের দাপট বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ভ্যাকসিন তৈরিতে এমন সাফল্য আশার আলো জাগালো বলেই মনে করা হচ্ছে। মার্কিন কোম্পানী ফাইজার ও জার্মানের বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনার এই প্রতিষেধক তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই প্রথম কোনও সংস্থা এত বড় মাপের সাফল্যের মুখ দেখল। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন আমেরিকা’র FDA অনুমোদন পেলেই তা বাজারজাত করা হবে।
তবে সূত্রের খবর প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সংখ্যক ডোজের ভ্যাকসিনকে দেশের মানুষের জন্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এই বিষয়ে ফাইজারের চেয়ারম্যান ও চিফ এগজিকিউটিভ অ্যালবার্ট বুর্লা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, ”বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য আজ একটি মহান দিন। এমন সময় ভ্যাকসিন তৈরির কর্মসূচিতে আমরা সবচেয়ে কঠিন মাইলস্টোনে পৌঁছোচ্ছি, যখন বিশ্বের জন্যে এটা খুব দরকার…”। ফাইজারের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী বিল গ্রুবারের কথায়, ”এটা জনস্বাস্থ্যর জন্যেও একটি বড় দিন”।