দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ঠিক এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে শুরু হয়েছিল গণনা। হারছেন, এমন ইঙ্গিত পেয়ে কারচুপির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বিভিন্ন রাজ্যে কারচুপির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। যদিও প্রমাণের অভাবে তা ধোপে টেকেনি। আজ রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারপার্সন রনা ম্যাক ড্যানিয়েল সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেছেন, ‘নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। এখনও অনেক বাকি। নিখুঁত এবং স্বচ্ছ গণনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। আমরা সেইসব মার্কিনির অধিকারের জন্য লড়ছি, যাঁরা রিপাবলিকান পার্টিতে আস্থা রেখেছিলেন। শুধু এই নির্বাচন নয়, আগামী সব নির্বাচনে যাতে তাঁদের আস্থা বজায় থাকে, আমরা সেই উদ্দেশ্যেও লড়ছি।’
অন্যদিকে আমেরিকার রাজ্যপাট সামলাতে প্রস্তুত বাইডেন-হ্যারিসের ট্রানজিশন টিম কিন্তু নাছোড়বান্দা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ২০২০-র সাধারণ নির্বাচনের এখনও বাকি। সত্ ভোট গণনার জন্যে যথাসম্ভব পদক্ষেপ করবেন তিনি। সেই সাথে নিজের নিজের অপছন্দের সহকারীদের বরখাস্ত করেছেনও এই যেমন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। অন্যদিকে ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ডেমোক্র্যাট পার্টি ভোটার পরিচিতি, ভোটদাতাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ, সইসাবুদ মিলিয়ে দেখার বিরোধী। সুতরাং তারা কারচুপিতে প্রচ্ছন্ন মদত দেয়। ঘুরিয়ে অভিযোগ করেছেন ম্যাক ড্যানিয়েল। তিনি আজ টুইট করে বলেছেন যে ‘ব্যালট নিয়ে কারচুপির আজ রাতে পর্দা ফাঁস হবে’
উল্লেখ্য, এবারের আমেরিকার ভোটে অন্যতম নির্ধারক রাজ্য ছিল পেনসিলভ্যানিয়া। সেখানে ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ। প্রথাগতভাবে রিপাবলিকানদের এই রাজ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা কারচুপির অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ যাবত্ রিপাবলিকান নেতারা সংযত ছিলেন। কারচুপির অভিযোগে সেভাবে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়াননি। দলের সেনেটর মিচ ম্যাককনেলের সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ১০০% নিজের অধিকারের মধ্যেই রয়েছেন। নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে তিনি প্রশ্ন করতেই পারেন।
এমনকি আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারও জানিয়েছেন, “যে যে রাজ্যে গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত।” তাঁর এই মন্তব্যের জেরে ইস্তফা দিয়েছেন আমেরিকার ন্যায় বিভাগের শীর্ষ আইনজীবী রিচার্ড পিলগার। সহকর্মীদের পাঠানো ই-মেলে পিলগার জানিয়েছেন, ব্যালট কারচুপির অভিযোগে আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেলরা হস্তক্ষেপ করেন না। ৪০ বছরের এই নীতির পরিবর্তে সম্ভবত নতুন কোনও নীতি আনতে চান বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল বার। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের কারচুপির অভিযোগে প্রথম থেকেই সায় দিয়েছেন বার কাউন্সিল।
এদিকে পরিবারের সকলে বোঝালেও নিজের অবস্থান থেকে নড়ছেন না ট্রাম্প। এই অবস্থান বজায় রাখলে বিবাদ মিটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে। মাঝ ডিসেম্বর আমেরিকার ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের নির্বাচন। ততদিন অবধি লড়াইটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, জানুয়ারির আগে নতুন সরকার দায়িত্বে আসছে না। অন্যদিকে ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের গোলযোগের মধ্যে আরও একটু প্রশাসনিক কাজ এগিয়ে রাখলেন ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিত্সক ডা. বিবেক মূর্তির নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স ঘোষণা করেছেন।