২০২০ সালের শেষের দিকেই যে করোনা ভ্যাকসিন আসছে সে বিষয়ে আগেই নিশ্চিত করেছিলেন WHO চিফ টেড্রস আধানম ঘেব্রেআইসাস। । এবার তিনি টুইটের মাধ্যমে জানলেন ‘ভ্যাকসিন নিয়ে যাবতীয় গবেষণা প্রায় শেষের দিকে , ফাইজার-এর তৈরি টিকাটি খুবই আশা জাগাচ্ছে।’ এর পাশাপাশি অন্যান্য ভ্যাকসিনগুলিতেও প্রত্যাশা রয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে WHO চিফের সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদী’র গতকাল টেলিফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। মহামারীর সমন্বিত বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সহায়তায় হু-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দৃষ্টি হারানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি হু-এর সমর্থনের গুরুত্বের প্রশংসা করেছেন।
হু’এর মহাপরিচালক WHO এবং ভারতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং নিয়মিত সহযোগিতার উপর জোর দেন এবং বিশেষভাবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এবং যক্ষার বিরুদ্ধে ভারতের প্রচারণার মত ভারতের অভ্যন্তরীণ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং মহাপরিচালক ঐতিহ্যবাহী ঔষধ ব্যবস্থার মূল্য নিয়ে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে বৈশ্বিক জনগণের সুস্থতা এবং অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির জন্য। তারা সামগ্রিক প্রোটোকলের মাধ্যমে আধুনিক চিকিৎসা অনুশীলনে ঐতিহ্যবাহী ঔষধ সমাধান একীভূত করার প্রয়োজনীয়তা, এবং সময় পরীক্ষিত ঐতিহ্যবাহী ঔষধ পণ্য এবং অনুশীলনের সাবধানে বৈজ্ঞানিক বৈধতার জন্য সম্মত হন।
মহাপরিচালক জোর দিয়ে বলেন যে ঐতিহ্যবাহী ঔষধের সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত যথাযথভাবে প্রশংসিত হয়নি, এবং বলেন যে হু সক্রিয়ভাবে এই এলাকায় গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগাভাগি করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং ১৩ নভেম্বর ভারতে আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপনের পরিকল্পিত উদযাপনসম্পর্কে মহাপরিচালককে অবহিত করেন, ‘আয়ুর্বেদ ফর সিওভিডি-১৯’ থিমের অধীনে।
প্রধানমন্ত্রী এবং মহাপরিচালক সিওভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে চলমান বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে মহাপরিচালক মানবতার স্বার্থে টীকা ও ফার্মাসিউটিক্যালসের নেতৃস্থানীয় নির্মাতা হিসেবে ভারতের ক্ষমতা প্রয়োগের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সুস্পষ্ট অঙ্গীকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তবে এবার WHO প্রধানের আর একটি টুইট খুব স্পেশাল কারণ ভ্যাকসিন নিয়ে এই ঘোষণার পাশাপাশি তিনি এই করনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্পরতা ও দৃঢ়তাকে ধন্যবাদ জানালেন।
প্রধানমন্ত্রী WHO প্রধানকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইটে লিখছিলেন “@WHO @DrTedros DG’র সাথে চমৎকার কথোপকথন হয়েছে। আমরা বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা উন্নয়নের জন্য ঐতিহ্যবাহী ঔষধের বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি সিওভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হু এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের সমর্থনের আশ্বাস ও আশ্বাস দিয়েছিলাম।”
ওই টুইটের জবাবেই WHO চিফ লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে তাঁর দৃঢ়তা ও কমিটমেন্ট প্রশংসনীয়। এই অতিমারী মানব সভ্যতার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। গোটা মানব সভ্যতাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাতে মোদি সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে আমরা লড়ব।”
অতিমারী পরিস্থিতিতে বিশ্বের বৃহত্তম গনতন্ত্র’র দেশের পাশে WHO এর উপস্থিতি ও সহযোগিতা নি:সন্দেহেই যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।