দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সম্প্রতি প্যারিসের ‘চার্লস দ্য গল’ বিমানবন্দরের বাইরে সক্রিয় ভাবে কাজ করে চলা এক নকল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট সরবরাহকারী গোষ্ঠীকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয়েছেন ফরাসি পুলিশের দল। ধরার পরবর্তীতে তাদের জেরা করা হয়। আর জেরার মুখে ওই দল স্বীকার করে নিয়েছে যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ বয়ানওয়ালা এমন একেকটি সার্টিফিকেট তারা বিক্রি করত ১৮০ থেকে ৩৬০ মার্কিন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় উল্লেখ করলে টাকার অঙ্কটা আজকের হিসেবে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৩৯৫ টাকা ৪২ পয়সা থেকে ২৬ হাজার ৭৯০ টাকা ৮৪ পয়সা।
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে করোনাকে ঠেকানোর পক্রিয়া চলছে জোড়কদমে। ভ্যাকসিন যাতে খুব তাড়াতাড়িই বেড়িয়ে যায় তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ এবং দ্রুত চেষ্টা করছে প্রতিটি দেশ। কিন্ত কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে, শুধুমাত্র এক স্রেণীর মানুষের লোভ আর নির্বুদ্ধিতা বাড়িয়ে তুলছে সভ্যতার বিপদ। করোনা রিপোর্ট নিয়ে জলঘোলা চলছে জোড়কদমে। করোনা রিপোর্ট জাল করার বিষয়টি অনেক আগেই ধরা পড়েছে। করোনা নিয়ে যে ছেলেখেলা চলছে তা খুব ভালোমতো বোঝা যাচ্ছে বৈকি!
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, “করোনাকালে নির্বিঘ্নে বিদেশযাত্রা করার জন্য অনেক যাত্রীই নকল কোভিড ১৯ পরীক্ষার সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন। এ ব্যাপারে তাঁদের সহায়ক হয়ে উঠেছে এক বিশেষ ধরনের কালোবাজার। সেই কালোবাজারি ব্যবসায়ীরা হুবহু আসলের মতো কোভিড ১৯ নেগেটিভ রিপোর্টওয়ালা এক সার্টিফিকেট তৈরি করে তা চড়া দামে বিক্রি করে চলেছেন ক্রেতাদের কাছে। খবর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে মূলত ফ্রান্স, ব্রাজিল এবং ব্রিটেনেই এ হেন নকল কোভিড ১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট তৈরির চক্র সব চেয়ে বেশি সক্রিয়।”
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট বলছে, ‘এ ধরনের নকল সার্টিফিকেটের ক্রেতা মূলত দুই শ্রেণীর এক, যাঁদের কর্মসূত্রে অন্যত্র না গেলেই নয় এবং দুই যাঁরা স্রেফ ছুটি কাটানোর জন্য ভ্রমণ করতে চাইছেন বিমানযোগে। কিন্তু বিমানসংস্থার নানা কড়াকড়ির মুখে পাছে যাত্রা বাতিল হয়ে যায়, সেই সকল দিক ভেবেই এই সব যাত্রীরা কালোবাজার থেকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ থাকার একটি নকল কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন।’
রমরমিয়ে চলছে এই বাজার।একে বাঁধা দেওয়ার মতো ও কেউ নেই। সম্প্রতি এরকম জাল রিপোর্ট সরবরাহকারী একটি দল ধরা পড়আর পরে এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে বিশ্বের স্বাস্থ্যবিদরা। কোভিড ১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেটের সাহায্যে এখন অন্য দেশে ভ্রমণ থেকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হওয়া- সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়।