দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ভরাডুবির পরও হার মানেননি। গতকাল তাঁর মুখে পরাজয়ের সুর শোনা গেলেও তিনি যে সহজে হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের শেষ ভরসা আদালত হলেও। কিন্তু সেই আইনি প্রক্রিয়াতেও ধাক্কা খেয়েছে রিপাবলিকানরা। ভোটে কারচুপির অভিযোগে পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনা ও মিশিগানের আদালতে রিপাবলিকানদের করা মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। অগত্যা এবার ‘মানুষ’ এর বিক্ষোভ দেখিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় ডোনাল্ড। তাঁর অদৃশ্য অঙ্গুলি হিলনে রাস্তায় নামাল হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক।
উল্লেখ্য, শনিবার ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, মিচিগান-সহ আমেরিকার বহু শহরে ট্রাম্প তথা রিপাবলিকানদের হাজার হাজার সমর্থক রাস্তায় নেমে পড়েন। প্রেসিডেন্টের সমর্থনে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। কেউ ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা ব্যানার নিয়ে আসেন, আবার কেউ আসেন ‘ফোর মোর ইয়ারস’ লেখা পোস্টার নিয়ে।
একটা বড় শোভাযাত্রা গতকাল হোয়াইট হাউস থেকে সুপ্রিম কোর্ট অভিযান করে। এমনকি ডোনাল্ড নিজে খানিকটা আচমকাই সেই শোভাযাত্রায় হাজির হন। যদিও গাড়ি গাড়ির ভিতর থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। বেগতিক দেখে সন্ধ্যের দিকে রাস্তায় নামেন কিছু বিডেন সমর্থকও। তবে, সেটা ট্রাম্প সমর্থকদের তুলনায় নগণ্য। বিডেন এবং ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষও হয়।
আসলে, হোয়াইট হাউস দখলে রাখার আইনি লড়াইয়েও ধাক্কা খেয়েছে রিপাবলিকান শিবির। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মুখে পরাজয়ের কথা এখনও স্বীকার করেননি। বৈধ ভোটে নিজেকেই বিজয়ী হিসেবে দাবি করে, বিষয়টিকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছেন। এই মূহুর্তে স্পষ্ট যে মার্কিন জনমত জো বিডেনের দিকে গিয়েছে। রাশিয়া-সহ কয়েকটি মুষ্টিমেয় দেশ ছাড়া চীন-সহ প্রায় সব দেশই বিডেনকে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে। তবে ট্রাম্প এর মতে জয়-পরাজয়ের নির্ণয় চূড়ান্ত হবে আদালতে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবার তাই আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই সমর্থকদের রাস্তায় নামিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।