দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ফাইজারের (Pfizer) করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় দফায় সফলতা পেল। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে শাহিন দম্পতির বায়োনটেক সংস্থা। উগর শাহিন এবং তার স্ত্রী ওজলেম টুরেসির! পেশায় গবেষক, এই দম্পতি প্রায় ৩০০ কোটি ইউরো মূল্যের এক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার ও গবেষক দম্পতির এই সংস্থা, এমআরএনএ (mRNA) প্রযুক্তি নির্ভর যে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল তার তৃতীয় দফার ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে তা করোনা প্রতিরোধে ৯০% কার্যকর।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে গ্যানিমেড ফার্মাসিউটিক্যাল্স সংস্থার কর্নধার হিসেবে পথ চলা শুরু করেন শাহিন এবং টুরেসি। গবেষক দম্পতির গবেষনার মূল বিষয় ছিল ক্যান্সার। সংস্থাটির বিশেষত্বই ছিল ‘মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিজ়’— ধরণের ওষুধ তৈরি। যা মূলত শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসারের কোষকে শনাক্ত করে।
পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে, এই দম্পতি বিশেষ উপসর্গের ক্যানসারের টিকা তৈরির জন্যে বায়োনটেক নামক একটি সংস্থা স্থাপন করেছিলেন। তবে বর্তমানে করোনার জের যখন সমস্ত বিশ্ব তটস্ত ও প্রায় সব দেশই টিকা আবিষ্কারে ব্যস্ত তখন সে তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন শাহিন দম্পতির সংস্থা বায়োনটেক। তাদের করোনার ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট, ইতিমধ্যেই দুটি ট্রায়ালে সেটি সফল হয়েছে। তৃতীয় ট্রায়ালেও ৯০% সফলতা পেয়েছে।
শাহিন দম্পতির ক্যান্ডিডেট ইতিমধ্যেই নতুন আশার পথ দেখাচ্ছে চিকিৎসকদের। এই টিকা ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী প্রমাণিত হবে বলেই মনে করছেন শাহিন এবং টুরেসি। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের গবেষণায় বাণিজ্যিক সহায়তার জন্য এই সংস্থার সাথে যোগ দিয়েছেন আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজ়ার। যৌথ উদ্যোগে আরও জোরকদমে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের গবেষণা। আগামী ডিসেম্বর মাসেই তা সাধারণের হাতের নাগালে চলে আসছে বলেই মনে করছে এই দুই সংস্থা।