দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সম্প্রতি বেশ কিছু করোনা টিকা গবেষণাগারে হ্যাকার রা রিসার্চ ডেটাবেস চুরি করতে আক্রমণ করেছে। এমন কী ভারতে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ট্রায়াল এর ফ্র্যানচাইজি নেওয়া ডক্টর রেড্ডির গবেষণাগার গুলিতেও হ্যাকার দের আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে। আসলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যখন সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে তখনই একদল মানুষ অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনে নেমে পরে। করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও তেমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞরা।
লণ্ডনের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফায়দা তুলে অতিরিক্ত লাভের আশায় বাজারে বিক্রি করা হতে পারে নকল ভ্যাকসিন। বলা বাহুল্য কিছু অসাধু লোকেরাই হবে এইসব চক্রের কাণ্ডারি।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা একটি ভ্যাকসিন বিক্রির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীরা বাজারে জাল ভ্যাকসিন ছড়াতে পারে। এতে তাঁদের বিরাট মুনাফা হবে, কিন্তু ভয়ংকর ক্ষতি হবে মানুষের। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি একথা জানিয়েছে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট.কো.ইউকে-র রিপোর্ট বলছে, ব্রিটেনে ইতিমধ্যে এই FAKE ভ্যাকসিনের বিক্রি রুখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা মহামারির শুরুর দিকে কিছু অসাধু লোকেরা নকল পিপিই (PPE) বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল, সেই একই ধাঁচে এবারও ভ্যাকসিন নিয়ে অসাধু ব্যবসা করতে পারে তাঁরা।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতির বড় ঝুঁকি রয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নকল ভ্যাকসিন দেওয়ার দলগুলি সক্রিয় হয়ে উঠবে। ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে এমন সংস্থার ওপর বারেবারে আঘাত হেনেছে হ্যাকারেরা। মূলত তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে হ্যাকাররা এই হামলা চালায় বলে জানানো হয়েছে।