দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মানসিক সমস্যাতে ভুগছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার ভোটের ফলকে তিনি আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, কিন্তু একের পর এক মামলা কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে। চোখের সামনে নিজের ক্ষমতা হস্তান্তরে একেবারেই রাজি নন তিনি। কিন্তু মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের ২০ জানুয়ারির পর আর হোয়াইট হাউসে থাকতে পারবেন না ট্রাম্প। আর সে দিনই হোয়াইট হাউসে শপথ গ্রহণ করবেন বিডেন-হ্যারিস। কিন্তু এই মূহুর্তে ট্রাম্প মরণ কামড় দিতে চাইছেন। আর সেটাই মার্কিন সহ সারা বিশ্বের জন্যে মোটেই সুখকর হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রের খবর হারের পরেও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করছেন না। তিনি এমন কিছু পদক্ষেপও করতে চাইছেন, যা বিপাকে ফেলতে পারে নতুন বাইডেন প্রশাসন, এমনকী আমেরিকাকে। ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত দেশের বৈদেশিক নীতি ও সম্পর্কে গুরুতর আঘাত হানতে পারে বলেই গোপন সূত্রে খবর।
একটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহেই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। সেই পত্রিকা এই দাবি করেছে যে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস, নতুন প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস্টোফার মিলার, জেনারেল মার্ক মাইলি, যুগ্ম চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই নাকি তিনি জিজ্ঞেস করেন যে, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানো সম্ভব কিনা!
ওই বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের আমলারা ট্রাম্প কে বোঝান, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালালে কী কী সমস্যা হতে পারে। ইরান পাল্টা হামলা চালাতে পারে। ওই এলাকার স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। এর পরেই গুরুত্ব বুঝে শান্ত হন ট্রাম্প। যদিও হোয়াইট হাউস অবশ্য এই নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগ এই বৈঠকের আগে জানিয়েছিল যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে। আমেরিকা সহ বন (BON) দেশগুলোর সঙ্গে এই সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়েছিল, তা উপেক্ষা করে অনেক বেশি পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত করছে ইরান। এই কথা জানার পরেই ইরানে হামলা চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প যেভাবে ক্রমশ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠছেন তাতে বিশ্বের যে বড় ক্ষতি হতে পারে সেটা আশঙ্কা করে উদ্বেগে রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।