দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা রুখতে ১০০% কার্যকর টিকা তৈরির দাবি বেজিং এর। বেজিং জানিয়েছে, ১০ লাখ মানুষকে এই নতুন টিকা দেওয়া হয়েছে, যার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি সেই সাথে টিকা দেওয়ার পরে তাঁদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হননি!
আর এই কারণেই এই ভ্যাকসিনকে ‘সুপার ভ্যাকসিন’ বলা হচ্ছে।
চীনা সূত্রে খবর সিনোফার্ম নামক সংস্থার তৈরি এই কোভিড ভ্যাকসিন অবশ্য এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্ব সম্পূর্ণ করেনি। তা সত্ত্বেও এর প্রারম্ভিক ট্রায়ালের রিপোর্ট এর ওপর ভিত্তি করেই কোভিড প্রতিষেধক হিসেবে এই সুপার ভ্যাকসিন সাধারণের উপর প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে চীনের জিনপিং সরকার।
এই ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সিনোফার্ম-এর চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন জানিয়েছেন, সুপার ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে কোনোরকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি, তবে মামুলি কিছু সমস্যা ছিল যা সহজেই সারিয়ে নেওয়া সম্ভবপর। তাঁর দাবি, সংস্থার এক বিদেশ দফতরে কর্মরত ৯৯ জন কর্মীর মধ্যে ৮১ জনের ওপরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা তখন দেওয়া হয়েছিল, যখন সেখানে কোনো করোনা সংক্রমণ হয় নি। এরপর সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দিলে, যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন দেখা গিয়েছে সেই সব কর্মী জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হননি। কিন্তু টিকা না নেওয়া ১৮ জন কর্মীর মধ্যে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন!
এছাড়াও লিউ জিংজেনের আরও দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সেই সমস্ত শ্রমিক, ছাত্র ও কর্মীদের ওপরে এই সুপার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, যাঁরা অতিমারী শুরু হওয়ার পরে বিদেশ সফর করেছেন। দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পরে এঁদের কারও মধ্যে সংক্রমণ দেখা দেয়নি। আর এই রিপোর্ট এর ওপর ভিত্তি করেই গত ৬ নভেম্বর চীন থেকে ভিন্ন দেশে সফরকারী ৫৬,০০০ যাত্রীকে রওনা হওয়ার আগে সুপার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
বেজিং সূত্রে জানানো হয়েছে এই সিনোফার্ম-এর তৈরি ‘সুপার ভ্যাকসিন’ বর্তমানে ট্রায়ালের তৃতীয় তথা অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের ১০টি দেশের ৬০,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর উপরে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।আরও জানা গিয়েছে, একসঙ্গে দুটি কোভিড টিকা তৈরি করছে সিনোফার্ম। এর মধ্যে কোনটি ‘সুপার ভ্যাকসিন’ তকমা পেয়েছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
চীনে তৈরি কোভিড টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার পরে ওষুধ উৎপাদক সংস্থা ক্যেন বায়োলজিক্স ঘোষণা করেছে, তারা চীনা সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপরে ওই টিকা প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থা ফাইজার যেদিন থেকে তাদের টিকা সংক্রমণ রুখতে ৯৫% সফল বলে দাবি করেছে, তার পর থেকে একাধিক দেশ কার্যকরী কোভিড টিকা তৈরির দাবি জানাতে শুরু করেছে। এখন সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে চীনও। আর চীনের এই ১০০% কার্যকরি টিকা তৈরির দাবি সেই প্রশ্ন কেও উস্কে দেয় যে, চীনই সত্যি সত্যি করোনা’র আঁতুড় ঘর। কারণ তারাই ১০০ % সঠিক ভ্যাকসিন বানাতে পারে যাদের কাছে সেই ভাইরাসটি সম্পর্কে ১০০% ডেটা রয়েছে!