দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মধ্যপ্রাচ্যে কী এবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ! ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যার পর এবার ‘খুন’ ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস-এর এক প্রভাবশালী কমান্ডার! আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তে ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মুসলিম শাহদানের। আল-আরাবিয়ান নিউজ ইরাকের প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইরাক সীমান্তে সিরিয়ার দের এজ-জর প্রদেশে গাড়িতে দেহরক্ষীদের সঙ্গে সফর করছিলেন শাহদান। তখনই তাঁদের উপর মিসাইল হামলা চালায় একটি ড্রোন।


সেই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই কমান্ডার শাহদান ও তাঁর তিন দেহরক্ষী মারা যান। এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা ও ইজরায়েল এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। আসলে ড্রোন দিয়ে এমন নিখুঁতহামলা চালাতে গেলে যে পরিমাণের ‘ইন্টেলিজেন্স ইনপুট’ বা গোপন খবর ও পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার মতো ক্ষমতা একমাত্র সিআইএ (CIA) ও মোসাদের রয়েছে। তবে এই মূহুর্তে শাহদানের হত্যা মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ করে তুলবে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ইরান এভাবে একের পর এক শীর্ষ আধিকারিকদের হত্যা চুপচাপ মেনে নেবে না।


প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানি-সহ আটজনকে খতম করে আমেরিকা। সেবারেও ড্রোনের মদতে হামলা চালানো হয়েছিল। আর এই নভেম্বরে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা তেহরানের রাস্তায় দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজা দেহকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। আর সেই ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলকে আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য বলে কটাক্ষ করে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তারপরই কমান্ডার শাহদানের হত্যা আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করবে এমনটাই আশঙ্কা।