দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতে চলা কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও কানাডা’র প্রধানমন্ত্রীর এই পাঞ্জাবের কৃষক দরদী মনোভাবের নেপথ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থর গন্ধ পাচ্ছে ভারত। আজ বিদেশমন্ত্রক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে যে কানাডার নেতাদের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনভিপ্রেত মন্তব্য করা মোটেই ঠিক হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, শিখ ধর্মগুরু মহান গুরু নানকের ৫৫১’ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু ভারতের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনের পুরোভাগে পাঞ্জাবের কৃষকরা রয়েছেন আর যাদের ৯০%’ই শিখ ধর্মালম্বী, তাই ট্রুডো’র এই মন্তব্য আসলে কানাডাতে বাস করা বৃহৎ সংখ্যক শিখ ধর্মের মানুষদের কে রাজনৈতিকভাবে নিজের দিকে সমর্থনে টেনে আনা ছাড়া আর কিছু নয়; এমনটাই মনে করছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক। গুরুপর্বের অনুষ্ঠানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রুডো বলেন যে “ভারতে যে কৃষক আন্দোলন চলছে সেখানে পরিস্থিতি খুব উদ্বেগজনক। সেখানে থাকা বন্ধু ও আত্মীয়দের কথা ভেবে আমরা চিন্তিত।”
আসলে কানাডায় থাকা পাঞ্জাবের মানুষদের কথা মাথায় রেখে তিনি জানান যে তাঁর দেশে এমন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার সর্বদা রক্ষিত হবে। আর এই ধরণের বিক্ষোভ যে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এর পাশাপাশি পাঞ্জাবের কৃষকদের জন্যে তাঁর উদ্বেগের কথা যে ভারতকে অনেক ভাবে বুঝিয়ে বলা হয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও কানাডার অন্যান্য নেতারাও বিক্ষোভরত শিখ কৃষকদের সমর্থনে নিজেদের বিবৃতি দিয়েছেন।
ভারত কানাডার এই প্রতিক্রিয়ায় মোটেই সন্তুষ্ট নয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “ভারতের চাষীদের বিক্ষোভ নিয়ে কানাডার নেতাদের ভ্রান্ত বক্তব্য আমরা শুনেছি। এই সব কথা একেবারেই অনভিপ্রেত, বিশেষ করে সেটা যখন একটি গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হয়।’
তিনি আরও বলেন যে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে দুটি দেশের কূটনৈতিক কথাপোকথনকে ভুল ভাবে প্রদর্শন করা কাম্য নয়। এর আগেও খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপকে আটকানোর বিষয়ে অতীতে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এবারেও ট্রুডোর মন্তব্য যে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক নয়, সেটা ভারতের প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট।