দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কৃষি আইন মকুবের দাবিতে মোদী সরকারের বিরোধিতায় এবার উত্তাল ব্রিটেনের রাজপথ। কৃষকদের আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হলেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় যখন আন্দোলন চলছে, তখন সীমান্তের ওপারেও চাপ বাড়াচ্ছে বিদেশি শক্তিগুলি। দুনিয়ার বিভিন্ন মহল থেকে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা আসছে প্রতিদিন । কিন্তু সরকার এখনও তাদের দাবি মানেনি। বরং চলছে দর কষাকষি।
৯ তারিখ ফের বৈঠকের টেবিলে বসছে দুপক্ষ। তার আগে ৮ তারিখ ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। সমর্থন এসেছে বিরোধী দলগুলি থেকেও। এর আগেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৩৬ জন এমপি চিঠি লিখেছিল। আর এমন সময়ে কানাডা, ব্রিটেনের তরফ থেকেও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা এসেছিল আগেও। এই বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল রাস্ট্রপুঞ্জ’ও।
আরো পড়ুনঃ কোভিশিল্ড টিকার জরুরী ভিত্তিক প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করল সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া
স্থানীয় সময় রবিবার সকাল থেকে মধ্য লন্ডন ছিল উত্তপ্ত। কোভিডবিধির তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় দূতাবাস, ট্রাফালগেল স্কোয়ার-সহ একাধিক এলাকায় জমায়েত করেন প্রতিবাদীরা। তাদের হাতে ছিল কৃষকদের সমর্থন পোস্টার। কারোর কারোর মাস্কে লেখা ছিল, ‘কৃষকদের জন্য সুবিচার চাই।’ ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ওঠে মোদী বিরোধী স্লোগানও। এই বিক্ষোভের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩০ জনকে আটক ও মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। অভিযোগ, কোভিডবিধি ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, লন্ডনে করোনা সংক্রমণ আটকাতে ৩০ জনের বেশি লোকের জমায়েতের অনুমতি নেই। তারপরেও কীভাবে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে যে এভাবে অনুমতি ছাড়া কীভাবে এতজন জমায়েত করলেন তা তারা জানেন না। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মূলত ভারত-বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসীরা এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। তারাই দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কানাডাতেও কৃষকদের সমর্থনে একাধিক ব়্যালি বেরিয়েছিল।
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ, সোমবার সিঙ্ঘু সীমানায় গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। আম আদমি পার্টি শুরু থেকেই কৃষক মোর্চাকে মোদী বিরোধিতায় হাতিয়ার করেছিল। এবার তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সীমানায় কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা খতিয়ে দেখতেই যাচ্ছেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নৈতিক সমসর্থন জানিয়েছেনএই কৃষক বিক্ষোভে।