দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ ব্রিটেনে টীকাকরণ শুরু হলেও ফাইজারের টীকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ভ্যাকসিন নেবার পর যার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হল, তার সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতাও তৈরি হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়ে নাকি এখনও পরীক্ষাই করেনি ফাইজার। তাছাড়া কোভিডের কোনও টীকাই এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ কার্যকর নয়। ফলে বিজ্ঞানীদের পরামর্শ— সতর্কতা বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা চালিয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ এক চিলতে কাগজ তাতেই ধরা পড়বে করোনা! বাংলার ছেলের অবাক আবিষ্কার!
ফাইজারের কোভিডের টিকা তৈরি হয়েছে মেসেঞ্জার আরএনএ প্রযুক্তিতে। এতে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোডের একটি অংশ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে হয় ২টি ডোজ। ফাইজারের দাবি, পরীক্ষায় দেখা গেছে টীকা নেওয়া লোকেদের ৯৫ শতাংশই কোভিড সংক্রমণ থেকে রক্ষা পান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হয়। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ৭ দিন কিংবা প্রথম ডোজের এক মাস পর থেকে এই ভ্যাকসিন কোভিড প্রতিরোধ করে।
তবুও টীকা নেওয়া ব্যক্তিদের সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ করার ক্ষমতা তৈরি হয় কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। হেপাটাইটিস-এ প্রতিরোধ এই টীকার একটি বড় গুণ বলা হচ্ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় এটাকে বলা হয় ‘স্টেরিলাইজিং ইমিউনিটি’। তবে অন্যান্য টীকার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না। তাই ফাইজারের টীকা নিলে কোভিডে সংক্রমিত হবেন না, এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নির্মাতারা এর ওপরেই জোর দিয়েছেন।
একবার টীকা নিলে কতদিন করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এটা বুঝতেও কয়েক মাস সময় লাগবে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক অফিসার জানিয়েছেন, এটা খুবই সম্ভব যে ফাইজারের টীকা কোভিড প্রতিরোধ করতে পারে, কিন্তু উপসর্গহীন সংক্রমণ ঠেকাতে ততটা কার্যকর নয়। সেকারণে জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের বিজ্ঞানী অনিতা শেঠের বক্তব্য, ‘বিষয়টা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত রেঁস্তোরা ও অন্যান্য লোক জমায়েত হওয়ার জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে’। কলোরাডো ইউসিহেলথ–এর সিনিয়র মেডিক্যাল ডিরেক্টর মিশেনল ব্যারনের মতে, টীকাকরণ কতটা কাজ দিচ্ছে তা বুঝতে আগামীবছরের মার্চ বা মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।